Wednesday 10 September 2014

নারীদের মিছিল করা




এই হচ্ছে কিছু মানুষের ইসলাম পালন !
নিজেদের সৌন্দর্য দিয়ে কুফফারদেরকে অন্তর নরমকরে, ফিলিস্থিনে নির্যাতিত মুসলমানদেরকে সাহায্য করতে চাওয়ার বৃথা চেষ্টা !!

প্রশ্নঃ প্রটেস্ট বা বিক্ষোভ মিছিল করার হুকুম কি?
উত্তরঃ ওলামাদের সর্বসম্মতিক্রমে মিছিল করা হারাম ও বেদাত, এটা কাফেরদের অনুকরণ করার মাঝে অন্তর্ভুক্ত। কিছু আলেম এর নাম যারা মিছিল করা বেদাত বলে ফতোয়া দিয়েছেনঃ
. ইমাম আব্দুল জিজ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে বাজরাহি'মাহুল্লাহ
. মুহাদ্দিসদের ইমাম, আল্লামাহ নাসির উদ্দিন আলবানী রাহি'মাহুল্লাহ
. আল-ফকীহ, শায়খ মুহাম্মদ বিন সালিহ আল-উসাইমিন (রাহিমাহুল্লাহ)
শায়খ সালেহ আল-ফাওজান  
শায়খ আব্দুল আজিজ আহলুশ শায়খ
. শায়খ উয়াসী উল্লাহ আব্বাস
. শায়খ সালেহ আস-শুহাইমি
. ইমাম আব্দুল মুহসিন আল-আব্বাদ

এইরকম অসংখ্য আলেম এর সর্বসম্মতিক্রমে ইজমা হয়ে গেছে  মিছিল করা সম্পূর্ণ হারাম ও এটা ফাসাদ সৃষ্টি করার মাঝে অন্তর্ভুক্ত। বর্তমানে শুধুমাত্র ইখওয়ানুল মুসলিমিন, জামাতে ইসলামীর মতো দল আর এদের থেকে বের হওয়া বিভিন্ন ভ্রান্ত ফেরকা হিজবুত তাহরীর, হিযবুত তাওহীদ এইরকম যারা মুখে ইসলাম কায়েমের কথা বলে, কিন্তু কাজে কর্মে কাফেরদের অনুকরণ করে - তারাই এই সমস্ত ফাসাদের (মিছিলের) পক্ষে ফতোয়াবাজি করে হালাল করতে চায়। বিস্তারিত জানতে দেখুন এখানে ক্লিক করে 



প্রশ্নঃ নারীদের বাইরে বের হওয়ার হুকুম কি?
উত্তরঃ নিষিদ্ধ, শুধু জরুরী প্রয়োজনে বাইরে যেতে পারবে, শর্ত সাপেক্ষে।

আর তোমরা গৃহে অবস্থান করবেজাহেলিয়াতের (মূর্খতা যুগের) মত নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না। তোমরা নামায কায়েম করবেযাকাত প্রদান করবে এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করবে।
সুরা আল-আহজাবঃ ৩৩।

প্রশ্নঃ তাবাররুজ এর হুকুম কি?
উত্তরঃ নারীদের সৌন্দর্য প্রকাশ করে বাইরে ঘুরে বেড়ানো বা তাবাররুজ হচ্ছে সবচাইতে বড় মুনকার এর মাঝে অন্তর্ভুক্ত যার কারণে তার বাবা, স্বামী পর্যন্ত জাহান্নামী হয়ে যায়!

প্রশ্নঃ নারীরা টাইট পোশাক পড়তে পারে? What aboutজিন্স?? চেহারা খোলা রাখতে পারবে?
মন্তব্যঃ নারীদের জন্য পুরুষদের পোশাক - শার্ট, প্যান্ট পড়া সম্পূর্ণ হারাম ও লানত পাওয়ার কাজ। টাইট পোশাক পড়া পুরুষদের জন্যই হারাম, আর নারীদের জন্যতো আরো বড় হারাম কারণ তাদের প্রতি পুরুষের টেম্পটেশান বেশি। আর সঠিক মত অনুযায়ী, চেহারা ঢাকা নারীদের জন্য ওয়াজিব।

এত কিছুর পরেও যারা মনে করে তারা হিজাব করছে, এরা হচ্ছে মডারেট মুসলিম, হিজাব নাম দিয়ে ধোঁকা। আর কাফেররা এটাই চাচ্ছে, মুসলমানদেরকে বিভিন্নভাবে এমন ইসলাম গিলতে বাধ্য করা  যাতে করে আসলে তারা ইসলামের বাইরে থাকবে যাতে করে কাফেররা ইসলামের জাগরণকে প্রতিহত করতে পারে। কিন্তু পথভ্রষ্ট লোকগুলো মনে করবে, আমিতো ইসলাম পালন করছি, কি দরকার ধর্ম নিয়ে এতো বাড়াবাড়ি করে, ইসলাম শান্তির ধর্ম  ইসলাম এতো কঠোর না ব্লা ব্লা।

নিজে এতো এতো পাপের ডুবে থেকে মিছিলের মাধ্যমে কাফেরদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছে মুসলমানদের মেয়েরা, এর চাইতে বড় বিপদ আর কি হতে পারে?

যেই পুরুষেরা নিজের ঘরের মেয়েদের খোঁজ না নিয়ে দুনিয়ার মাঝে ডুবে আছে, নিজে পাপাচারে লিপ্ত থেকে অন্যদেরকেও পাপাচারে এলাউ করছে  এই সমস্ত গাফেল নারী-পুরুষদের কারণেই আজকে মুসলমানদের এই দুর্দশা। বিশ্বাস না হলে হাদীস ও আমাদের কি করণীয় দেখুনঃ

যখন কোন জাতি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অঙ্গীকার ভঙ্গ করেতখন আল্লাহ তাদের উপর তাদের বিজাতীয় দুশমনকে ক্ষমতাসীন করেন এবং সে তাদের সহায়-সম্পদ কেড়ে নেয়।
ইবনু মাজাহ হা/৪০১৯হাদীস সহীহছহীহাহ হা/১০৬-০৭।

এ সম্পর্কিত আমাদের পূর্বের ২টি লেখার লিংকঃ-



No comments:

Post a Comment

Download AsPDF

Print Friendly and PDFPrint Friendly and PDFPrint Friendly and PDF
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...