১) ঈমান ও সৎকর্ম দ্বারা জীবনকে সজ্জিত করা এবং পাপাচার থেকে দূরে থাকা।
২) সর্বদা তওবা-ইস্তিগফার করা এবং প্রয়োজনীয় দুয়া ও জিকিরগুলো পাঠ করা।
৩) ইলম (শরীয়তের জ্ঞান) চর্চা করা। ইলম ছাড়া আমল (কর্ম) গোমরাহীর দিকে নিয়ে যেতে পারে।
৪) মানুষের উপকার করা ও দুখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করা। সে ব্যক্তিই সর্বাধিক সেরা যে অন্যের উপকার করে।
৫) বিপদাপদ ও সংকটে মনে সাহস বজায় রাখা।
৬) বিপদাপদ ও সংকটে ধৈর্য ধারণ করা। মনে রাখতে হবে, কোন কিছুই আল্লাহর সিদ্ধান্ত ব্যতিরেকে সংঘটিত হয় না।
৭) হিংসা, বিদ্বেষ ও প্রতিশোধ পরায়ণতা থেকে মনকে পরিচ্ছন্ন রাখা।
৮) সৎলোকদের সাথে বন্ধুত্ব রাখা ও অসৎ লোকদের সংস্রব বর্জন করা।
৯) জীবন ক্ষণস্থায়ী। সুতরাং এটিকে বেদনা, কষ্ট, হতাশা দিয়ে ভরে না ফেলে আনন্দময় করে তুলুন। আল্লাহর উপর পরম নির্ভরতা জীবনকে সহজ করে দিবে।
১০) বৈধ পন্থায় চিত্ত বিনোদন করুন। স্ত্রী-পরিবারের সাথে সময় কাটান। হারাম পন্থায় প্রকৃত সুখ নেই। আল্লাহর অসন্তুষ্টি জীবনকে বিষাদময় করে তুলে।
১১) বেশী কথা, বেশী ঘুম, বেশী খাওয়া এবং মনে যা চায় তাই দেখা পরিহার করা। মধ্যম পন্থা অবলম্বন শরীর ও মন উভয়ের জন্য উপকারী।
১২) অতিলোভে দু:শ্চিন্তা বৃদ্ধি পায়। অল্পে তুষ্ট ও মিত ব্যয়ী জীবন অনেক তৃপ্তিময়।
১৩) পরিচ্ছন্ন পোশাক, সুগন্ধি আর মেদহীন শরীর জীবনের আনন্দ উপভোগ করতে সহায়ক।
১৪) আপনার জন্য যে কাজটি উপযুক্ত সে কাজটি করুন।
১৫) কর্ম ক্ষেত্রে বেশী গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো আগে করুন। সকল কাজ সাজিয়ে-গুছিয়ে সুচারু রূপে সম্পন্ন করার চেষ্টা করুন। আজকের কাজ কালকের জন্য ফেলে রাখবেন না। অন্যথায় এগুলো আপনার মাথায় দু:শ্চিন্তা বোঝা হয়ে থাকবে।
(ড.আয়েয আল কারনী’র লেখা ‘হাদায়েক’ গ্রন্থের ছায়া অবলম্বনে) অনুবাদ ও গ্রন্থনায়: আব্দুল্লাহিল হাদী
No comments:
Post a Comment