Thursday 25 September 2014

উসীলা বা আল্লাহকে পেতে মাধ্যম গ্রহণ




::::::::: আল্লাহকে পেতে মাধ্যম গ্রহণ :::::::::

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য আমরা তাঁরই প্রশংসা করছিতাঁর কাছেইসাহায্য চাচ্ছি আর তার কাছেই ক্ষমা প্রার্থনা করছি আমাদের মন্দকৃতকর্মএবং আত্মার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে আল্লাহর দরবারে আশ্রয় নিচ্ছি,আল্লাহ তা'আলা যাকে হিদায়াত করেন তাকে গোমরাহ করার কেউ নেই আরযাকে গোমরাহ করেন তাকে হেদায়াত করার কেউ নেইআমি সাক্ষ্য দিচ্ছিযেএক আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন মাবুদ নেইতার কোন শরীক নেইআর সাক্ষ্য দিচ্ছি যেমুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামআল্লাহর বান্দা রাসূল

স্রষ্টা  সৃষ্টির মাঝে মাধ্যম মানার ব্যাপারটা অত্যন্ত বিপজ্জনক বিষয়পরিতাপের বিষয় যেঅনেক মুসলমানই  সম্পর্কে পরিষ্কার
কোন ধারণা রাখেনা ফলে আমরা আল্লাহর সাহায্য সহযোগিতা থেকে বঞ্চিতহতে চলেছিযে সাহায্য করার কথা তিনি কুরআনে তাঁর কাছে আশ্রয় কামনাএবং তাঁর শরীয়তের অনুসরণ করার শর্তে ঘোষণা করেছেন

আল্লাহ বলেন :
আর মু'মিনদের সাহায্য করা আমার দায়িত্ব
সূরা আর-রূম৪৭

যদি তোমরা আল্লাহকে সাহায্য কর তবে তিনিও তোমাদের সাহায্য করবেন,এবং তোমাদের পদযুগলে স্থিতি দিবেন
সূরা মুহাম্মাদ

আল্লাহর জন্যই যাবতীয় সম্মানআর তাঁর রাসূলের জন্যএবং মু'মিনদেরজন্য
সূরা আল-মুনাফিকূন

তোমরা দুর্বল হয়োনাএবং তোমরা চিন্তা করোনাতোমরাই বিজয়ী হবেযদি তোমরা ঈমানদার হও
সূরা আলে-ইমরান১৩৯

***সৃষ্টি  স্রষ্টার মাঝে মাধ্যম বলতে কি বুঝায় ব্যাপারে মানুষ তিনটিদলে বিভক্তঃ

*একঃ একদল হচ্ছে তারা যারা শরীয়ত প্রণেতা হিসাবে প্রেরিত একমাত্রমাধ্যম রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকেও মানতে নারাজবরংতারা দাবী করছে, - আর কত জঘন্যই না তাদের  দাবী - যেশরীয়তশুধুমাত্র সাধারণ মানুষের জন্যউপরন্ত তারা  শরীয়ত কে "ইলমে জাহীর"বা প্রকাশ্য বিদ্যা হিসাবে নামকরণ করেছেতারা তাদের ইবাদতের ক্ষেত্রেকতেক বাজে চিন্তা-ধারণা  কুসংস্কারকে গ্রহণ করে "ইলমে বাতেনবাগোপন বিদ্যা নামে চালু করেছেআর এর দ্বারা যা অর্জিত হয় তার নামদিয়েছে (কাশফ) মূলত তাদের এই কাশফ ইবলীশি কুমন্ত্রণা আর শয়তানীমাধ্যম ছাড়া কিছুই নয়কারণ এটা ইসলামের সাধারণ মুলনীতির পরিপন্থী, ব্যাপারে তাদের দলগত শ্লোগান হলোঃ  কথা (আমার মন আমার রবথেকে সরাসরি বর্ণনা করেছে)

এতে করে তারা শরীয়তের আলেমদের সাথে ঠাট্টা করছেএবং  বলে দোষদিচ্ছে যেতোমরা তোমাদের বিদ্যা অর্জন করছ ধারাবাহিকভাবে মৃতদেরথেকে আর তারা তাদের বিদ্যা সরাসরি চিরঞ্জীবচিরস্থায়ী রব এর কাছথেকে অর্জন করছে  সমস্ত কথা দ্বারা তারা অনেক সাধারন মানুষকেআকৃষ্ট করে তাদের পথভ্রষ্ট করছে আর শরীয়ত নিষিদ্ধ অনেক কাজ তারাএভাবে জায়েয করেছে যার বিবরণ তাদের কুসংস্কারপূর্ণ বই গুলিতেবিশদভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে ফলে  ব্যবস্থার অবসান কল্পে আলেমগণতাদেরকে কাফের এবং ধর্ম বিচু্যতির কারণে তাদের হত্যা করার নির্দেশদিতে বাধ্য হয়েছিলেন কারণ তারা জানতনা বা জেনেও না জানার ভানকরত যেইসলামের প্রথম মূলনীতি হলোঃ মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামএর অবতীর্ণ পদ্ধতির বাইরে কেউ আল্লাহর ইবাদাত করলে সেকাফের হিসাবে গণ্য হবেকেননা আল্লাহ বলেন:

"সুতরাং তারা যা বলছে তা নয় বরং আপনার রবের শপথতারা যতক্ষণপর্যন্ত আপনাকে তাদের মধ্যকার ঝগড়ার মাঝে বিচারক
মানবেনা অতঃপর তাদের অন্তরে আপনার ফয়সালার ব্যাপারে কোন প্রকারদ্বিধা দ্বন্দ্বের অস্তিত্ব থাকবেনাএবং পরিপুর্ণভাবে তা মেনে নিবেনা ততক্ষণপর্যন্ত তারা ঈমানদার হতে পারবেনা"
সূরা আন্-নিসা৬৫

আর এভাবেই শরীয়তের ইলমের বিরোধীতা  তার আলোকে নির্বাপিত করারকাজ শয়তান তাদের মনে সৌন্দর্য মন্ডিত করে দেখায় ফলে তারা নিশ্চিদ্রঅন্ধকারে ঘুরতে থাকে এবং তাদের খেয়াল খুশি মোতাবেক আল্লাহর ইবাদতকরতে থাকে পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা'আলা তাদের যে চিত্র অংকনকরেছেন তা তাদের ক্ষেত্রে সঠিক বলে প্রতিয়মান হয় আল্লাহ তা'আলা বলেন:

"বলুনআমি কি তোমাদেরকে আমলের দিক থেকে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্তদেরসংবাদ দেব? (তারা হলো  সব লোকযাদের দুনিয়ার জীবনের সমস্তপ্রচেষ্টা পন্ড হয়ে গেছেঅথচ তারা মনে করত কত সুন্দর কাজই না তারাকরছেতারাই সে সব লোক যারা তাদের রবের আয়াতসমূহ  তার সাথেসাক্ষাৎকে অস্বীকার করেছেফলে তাদের সমস্ত আমল বিনষ্ট হয়ে গেছে,সুতরাং কিয়ামতের দিন তাদের জন্য কোন ওজন স্থাপন করবোনা"
সূরা আল-কাহ্ফ১০৩-১০৫

 গ্রুপ শতধা বিভক্ত হয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে লেগেছেকারণ তারা সহজসরল পথ থেকে দূরে সরে গেছেযে পথ ছিল আল্লাহর নেয়ামতপ্রাপ্তদের পথ,অভিশপ্ত বা পথহারাদের পথ নয় তাদের সমস্ত গ্রুপই জাহান্নামে যাবে,কারণ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামবলেছেন:
"আমার উম্মত তিয়াত্তর ফেরকা বা গ্রুপে বিভক্ত হবেবাহাত্তরটি জাহান্নামেআর একটি জান্নাতে যাবে - যারা আমি এবং আমার সাহাবাগণ যে পথেআছিতার উপর থাকবে".
হাদিসটি আবু দাউদনাসায়ীইবনে মাজাহতিরমিযিহাদীস সহীহ

**দুইঃ যারা মাধ্যম সাব্যস্ত করতে গিয়ে সীমালংঘন করেছেআর মাধ্যমেরভুল ব্যাখ্যা করে এর উপর এমন কিছু জিনিস চাপিয়েছেযা চাপানো কক্ষনোজায়েয নয় তারা রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএবং অন্যান্যনবী  নেক্কার ব্যক্তিবর্গকে এমনভাবে মাধ্যম মানতে শুরু করেছে যে তাদেরবিশ্বাস আল্লাহ তা'আলা কারো কোন আমল এদের মাধ্যম হয়ে না আসলেকবুল করবেননাকারণ এরাই হচ্ছে তার কাছে যাওয়ার অসীলা(নাউজুবিল্লাহ)এতে করে তারা আল্লাহ তা'আলাকে এমন সব অত্যাচারীবাদশাহদের বিশেষণে বিশেষিত করেছে যারা তাদের প্রাসাদে প্রচুর দারোয়াননিযুক্ত করে রেখেছে যাতে করে কোন শক্তিশালী মাধ্যম ছাড়া তাদের কাছেপৌঁছা কক্ষনো সম্ভব হয়ে উঠেনা অথচ আল্লাহ তা'আলা পবিত্র কুরআনেবলেন:
"যখন আপনাকে আমার বান্দাগণ আমার সম্পর্কে প্রশ্ন করে তখন (বলুন)আমি নিকটেআহবানকারী যখন আমাকে আহবান করে আমি তার ডাকেসাড়া দেইসুতরাং তারা যেন আমার হুকুম মেনে নেয় এবং আমার উপরইঈমান আনে যাতে করে তারা ৎপথ লাভ করে" আল্লাহ তা'আলার বাণীর সাথে পূর্ব বর্ণিত লোকদের বিশ্বাসের সংগতি কতটুকু?

 আয়াত ইঙ্গিত করছে যেআল্লাহর কাছে পৌঁছার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে তারউপর সঠিকভাবে ঈমান আনা এবং তার প্রর্দশিত পথে ইবাদাত করাদৃশ্যনীয় যে আয়াতে ইবাদতের কথা ঈমানের পূর্বে উল্লেখ করে নেকআমল বা ৎকাজের গুরুত্ব সম্পর্কে সাবধান করা হয়েছেকেননা আল্লাহরসন্তুষ্টি অর্জন  তার জান্নাত হাসিলের জন্য এটা প্রধান শর্ত আল্লাহতা'আলা কুরআনে অসীলা শব্দের উল্লেখ করেছেন এবং তা দ্বারা পূর্ণ আনুগত্যকরাকেই বুঝিয়েছেন কারণ এটা (অর্থা আল্লাহ  তার রাসূলের পূর্ণআনুগত্যইএকমাত্র মাধ্যম যা তাঁর নৈকট্য দিতে পারে এবং তার রহমতেরদরজা খুলতে  জান্নাতে প্রবেশ করাতে সক্ষম তাই বলছেনঃ

"হে ঈমানদারগণ তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং তার কাছে অসীলা (পূর্ণআনুগত্যের মাধ্যমে নৈকট্যঅন্বেষণ কর আর তার রাস্তায় জিহাদ কর যাতেকরে তোমরা সফলকাম হতে পার"
সূরা আল-মায়িদাহ্৩৫

নেককার বান্দাদেরকে যারা অসীলা হিসাবে গ্রহণ করে এমন মুর্খচেতনাহীনলোকদেরকে আল্লাহ তা'আলা পরিহাস করেছেন কারণ তারা নেককারবান্দাদেরকে অসীলা বানাচ্ছেঅথচ নেককার বান্দারা নিজেরাই এই অসীলাতথা আল্লাহর আনুগত্য দ্বারা নৈকট্য হাসিলের অধিক মুখাপেক্ষী আর ছাড়া আল্লাহর নৈকট্য লাভের দ্বিতীয় কোন পথ নেই,
যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেছেন:
"তারা যাদের আহবান করছে তারা নিজেরাই তাদের প্রভূর নৈকট্য লাভেরজন্য অসীলা খুঁজছে তারা তার রহমতের আশা করছেতার
শাস্তির ভয় করছেনিশ্চয়ই আপনার প্রভুর শাস্তি ভীতিপ্রদ"
সূরা আল-ইসরা৫৭

বড়ই পরিতাপের বিষয় যে সমস্ত অমনযোগী লোকেরা যাদেরকে মাধ্যমহিসাবে গ্রহণ করেছে তাদের সত্তার উপর ভরসা করে থাকার ফলে নেক আমলকরা থেকে বিরত থাকছেখারাপ কাজে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে যা মুসলমানদেরঅধঃপতনের কারণ হয়েছে তারা ভুলে গেছে বা ভুলে থাকার ভান করছেযেআল্লাহ তা'আলা তাঁর রাসূলকে - যিনি সমস্ত মানব সন্তানের নেতা -তাঁকে সম্বোধন করে বলেছেনঃ
"বলুনঃ আমি আমার নিজের কোন উপকার বা ক্ষতি করার ক্ষমতা রাখিনা"
সূরা আল-রাফ১৮৮

অনুরুপভাবে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামতাঁর কলিজার টুকরাকন্যাকে সম্বোধন করে বলেছেনঃ
"হে ফাতিমা ! আমার কাছে যত সম্পদ আছে তার থেকে যা ইচ্ছা হয় চেয়েনাওআমি আল্লাহর কাছে তোমার কোন কাজে আসবনা"
বুখারী  মুসলিম

তিনি আরো বলেন :
"যখন কোন মানুষ মারা যায় তখন তার সমস্ত আমল বন্ধ হয়ে যায়,কেবলমাত্র তিনটি আমল ব্যতীত..."
মুসলিম

যদি নবীগণ  নেক্কার লোকদের ব্যক্তিসত্তার অসীলা গ্রহণ জায়েয না হওয়ারব্যাপারে কোন দলীল না থাকতবরং আমাদের সামনে উমর (রাদিয়াল্লাহুআন্হুএর সেই ঘটনাটিই শুধু থাকতযাতে তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লামএর মৃতু্যর পর তাঁর অসীলা বাদ দিয়ে তার চাচা আব্বাসেরদুআ' শরণাপন্ন হয়েছিলেনতবে অসীলাবাদী  দলের মুলোৎপাটনে তাইযথেষ্ট হত

ইমাম আবু হানীফা (রাহমাতুল্লাহ আলাইহিকতই না সুন্দর বলেছেন:
"আমি আল্লাহর কাছে আল্লাহ ব্যতীত অপর কিছুর মাধ্যমে কিছু চাওয়াকেহারাম মনে করি"
দুররে মুখতার  হানাফীদের অন্যান্য কিতাবে তা ইমাম সাহেব থেকে বর্ণিতআছে

যদি ব্যক্তি স্বত্বা দ্বারা অসীলা দেয়া জায়েজ হতোতবে কুরআন  হাদীসেরযাবতীয় দুআযার সংখ্যা অগণিত তা ব্যক্তি সত্তার অসীলা দিয়েই আসত(কিন্তু তার একটিও সেভাবে আসেনি)

***তিনঃ যারা স্রষ্টা  সৃষ্টির মাঝে মাধ্যম বলতে বুঝেছেন সেই রিসালাতকেযার মানে হলো দ্বীন প্রচারশিক্ষাদান  দ্বীনের প্রশিক্ষণ তারা এইরিসালাতের উচ্চ মর্যাদা এবং এর প্রতি মানব জাতির প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধিকরেছেন ফলে তারা শরয়ী বিধান লাভের উদ্দেশ্যে এবং ঐশী বাণী বা ওহীরআলোকে আলোকিত হওয়ার জন্য রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকেবড় মাধ্যম এবং বৃহ অসীলা হিসাবে গ্রহণ করেছেন যেমনিভাবে তারাকুরআন অধ্যয়ন করছেন তেমনিভাবে তারা রাসূলের পবিত্র জিবনী  তারসুন্নাত অধ্যয়ন করছেন এতে তাদের শ্লোগান হচ্ছে আল্লাহর বাণীঃ
"নিশ্চয়ই তোমাদের কাছে আল্লাহর কাছ থেকে নূর এবং সুস্পষট গ্রন্থ এসেছে,এর দ্বারা যারা আল্লাহর সন্তুষটির পিছনে ধাবিত হয় আল্লাহ তাদেরকেহিদায়াত প্রদান করেনআর তাদেরকে তাঁর ইচ্ছা মোতাবেক অন্ধকার থেকেআলোতে নিয়ে যানএবং সরল সোজা পথে পরিচালিত করেন "
সূরা আল-মায়িদাহ্১৫১৬

এরাই হলো মুক্তি প্রাপ্ত দল যাদের কথা পূর্বোক্ত হাদীসে বর্ণিত হয়েছেএবংতাদেরকেই জান্নাতের সুসংবাদ প্রদান করা হয়েছে কিন্তু দুঃখের বিষয়গ্রুপের পথ বিপদসংকুলকন্টকাকীর্ণ কেননা সত্যিকার ইসলাম আজঅপরিচিত হয়ে পড়েছে অধিকাংশ মুসলমান এর থেকে অনেক দুরে সরেগেছে তারা  দ্বীনকে বিদআ'  মনগড়া রসম রেওয়াজে পরিবর্তনকরেছে এই রোগ অতি পুরাতন ব্যাপারে সংস্কারকদের ভুমিকা খুবভয়াবহ  কষ্টসাধ্য

উমর বিন আব্দুল আজীজ (রাহমাতুল্লাহি আলাইহিবলেছেন
"আমরা এমন কাজ সংসকার করতে চেষ্টা করছি যাতে আল্লাহ ছাড়াআমাদের আর কোন সাহায্যকারী নেইযে কাজ করতে গিয়ে বৃদ্ধরা তাদেরজীবন শেষ করেছেআর ছোট ছোট ছেলেরা যুবক হতে চলেছেবেদুঈনগণতাদের বাস্তু ত্যাগ করে চলে গেছে তারা এটাকে দ্বীন (ধর্মমনে করেছেঅথচ এটা আল্লাহর কাছে দ্বীন বলে সাব্যস্ত নয়"

অবশ্য এটা নতুন কিছু নয়কারণ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)দ্বীনের  করুণ দৃশ্যের কথা বর্ণনা করতে যেয়ে বলেছেন,
"ইসলাম অপরিচিত হিসাবে শুরু হয়েছে যেভাবে তা শুরু হয়েছিল সেভাবেআবার (অপরিচিতঅবস্থায় ফিরে আসবে সুতরাং গরীব (এই অপরিচিত)দের জন্যই সুসংবাদহাদীসটি মুসলিম শরীফে আবু হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহুআন্হুথেকে বর্ণিত
অপর বর্ণনায় এসেছে,
"বলা হলঃ হে আল্লাহর রাসূল এই গরীব (অপরিচিতরা কারাবললেনঃবিভিন্ন গোত্র থেকে উত্থিত বিক্ষিপ্ত কতক ব্যক্তিবর্গ"
আহমাদইবনে মাজা
তিরমিযির এক (হাছানবর্ণনায় এসেছে,
"এই গরীবদের জন্য সুখবর যারা আমার সুন্নাতের যে অংশ মানুষ নষ্ট করেছেতা পূণঃ সংস্কার করে চালু করেছে"
মুসনাদে আহমাদে অপর এক সহীহ বর্ণনায় এসেছে,
"এই গরীব (অপরিচিতগণ হলোঃ অনেক খারাপ লোকের মাঝখানে এমনকিছু ভাল লোকযাদের অনুসারীর চেয়ে বিরোধীরাই হবে বেশী"

সুতরাং গ্রুপকেই সংসকার কাজে এগিয়ে যেতে হবেসংস্কারের আলোতেমুসলমানদের জাগিয়ে পুনরায় সঠিক ইসলামের দিকে ফিরিয়ে নিতে হবেআর বিরোধীতা  বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদের আমরা তাই বলব যা আল্লাহতা'আলা তাদের পূর্বসুরীদেরকে বলেছেনঃ
"আমাদের কি হলো যেআমরা আল্লাহর উপর ভরসা করবনা অথচ তিনিআমাদেরকে যাবতীয় পথের দিশা দিয়েছেনআর আমরা তোমাদের শতআঘাতের বিপরীতে ধৈর্য্য ধারণ করবোভরসাকারীগণ যেন শুধু আল্লাহরউপরই ভরসা করেন"
সূরা ইব্রাহীম১২

লেখক : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া,

সূত্র : ইসলাম প্রচার ব্যুরোরাবওয়াহরিয়াদসৌদিআরব

No comments:

Post a Comment

Download AsPDF

Print Friendly and PDFPrint Friendly and PDFPrint Friendly and PDF
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...