·
মদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও মাসজিদে নাবাউয়ী’র সম্মানিত মুদার্রিস, আশ-শাইখ, আল-‘আল্লামাহ, আল-ফাক্বীহ, ড. সুলাইমান বিন সালীমুল্লাহ আর-রুহাইলী (হাফিযাহুল্লাহ) বলেছেন—
মদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও মাসজিদে নাবাউয়ী’র সম্মানিত মুদার্রিস, আশ-শাইখ, আল-‘আল্লামাহ, আল-ফাক্বীহ, ড. সুলাইমান বিন সালীমুল্লাহ আর-রুহাইলী (হাফিযাহুল্লাহ) বলেছেন—
❝আল্লাহ তোমাদের ওপর রহম করুন। তোমরা জেনে রেখ, আশুরার (মহরমের দশ তারিখের) দিনে রোজা ব্যতীত অন্য কোনো আমল করা শরিয়তসম্মত নয়। সুতরাং আশুরার দিনে রোজা ব্যতীত পালন করার মতো আর কোনো মুস্তাহাব আমল নেই। কিছু লোক আশুরার দিবসকে কেন্দ্র করে বিদ‘আতী ক্রিয়াকলাপ তৈরি করেছে। কেউ কেউ এই দিনকে শোকদিবস হিসেবে গ্রহণ করেছে, যে দিবসে মাতম করে গাল চাপড়ানো হয়, পরনের কাপড় ছেঁড়া হয় এবং জাহেলী যুগের মতো হাঁকডাক করা হয়। এগুলো সত্তাগতভাবেই মন্দকাজ।
তাহলে ওই সকল কাজ কত মন্দ ও কদর্য হতে পারে, যখন সেসবের সাথে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সাহাবীদেরকে গালি দেওয়ার মতো অপরাধ এবং উম্মতে মুহাম্মাদের ﷺ সম্মানিত ব্যক্তিবর্গকে অমর্যাদা করার মতো অন্যায় সংযুক্ত হয়?!
অপরদিকে উক্ত দলের বিরোধিতা করে আরেক দল লোক আশুরার দিবসকে উৎসবের দিন বানিয়ে নিয়েছে। তারা এই দিনে করণীয় কিছু আমলের কথা উল্লেখ করে, যেগুলোকে তারা ভালো মনে করে। তার মধ্যে অন্যতম হলো—আশুরার দিনে সুরমা ব্যবহার করা, আশুরার দিবসে গোসল করা, আশুরার দিনে পরিবার-পরিজনের জন্য কেনাকাটা করা, এবং এই দিবসকে উৎসবের দিন হিসেবে গ্রহণ করা। এগুলো সবই নবআবিষ্কৃত বিদ‘আতী কর্মকাণ্ডের অন্তর্ভুক্ত।
হাফিয ইবনু রজব এবং তাঁর পূর্বে শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুমাল্লাহ) বর্ণনা করেছেন যে, রোজা ব্যতীত আশুরার দিবসে পালনীয় অন্যান্য ফজিলতপূর্ণ আমলসমূহের ব্যাপারে যেসব হাদীস বর্ণিত হয়েছে, সেগুলোর সবই জাল ও মিথ্যা বর্ণনা; এগুলো রাসূলুল্লাহ ﷺ থেকে প্রমাণিত নয়।❞
·
তথ্যসূত্র:
তথ্যসূত্র:
https://youtu.be/mjoM7KX_xSE (অডিয়ো ক্লিপ)।
·
অনুবাদক: মুহাম্মাদ ‘আব্দুল্লাহ মৃধা
অনুবাদক: মুহাম্মাদ ‘আব্দুল্লাহ মৃধা
No comments:
Post a Comment