Tuesday 18 February 2020

প্রেসিডেন্ট এর্দোগান : এক রূপকথার খলীফা!


.
প্রারাম্ভিকা,
বর্তমানে একদল লোক বিপর্যস্ত উম্মাহর আহাজারিতে উপায়ান্তর না দেখে খড়কুটো আঁকড়ে ধরে উম্মাহর খলিফা, সুলতান হিসেবে এমনসব ব্যক্তিদের বেছে নিচ্ছেন যাদের গন্তব্য পথই উম্মাহর চাহিদার বিপরীত!
যাদের কার্যকলাপগুলো মুসলিম উম্মাহর সাথে উপহাস, ধোঁকাবাজি,বেইমানির নামান্তর!
.
অত্যান্ত দুঃখের বিষয় হচ্ছে, নির্যাতিত মুসলিম উম্মাহর ত্রাণকর্তা হিসেবে কখনো মাহথির, কখনো আহমেদিনেজাদ,কখনো মুরসি অথবা এর্দোগানকে সপ্নদ্রস্টা বানিয়ে একের পর এক প্রবন্ধ, বই, আর্টিকেল যে হারে প্রচার-প্রসার করা হচ্ছে তাতে শুধু আমি কেন, যেকোন সচেতন মুসলিমের আপত্তি থাকাটা অস্বাভাবিক নয়! তাই পাঠকদের কাছে বিষয়টি খোলাসা করত: আমরা আজ তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এর্দোগানকে নিয়ে সামান্য আলোচনা করব। ওয়া বিল্লাহীত তাওফ্বীক।
.
জন্ম ও পরিচিত :
১৯৫৪ সালের ২৬ ফেব্র“য়ারি ইস্তাম্বুলে জন্মগ্রহণ করেন এযুগের কথিত সুলতান,তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এর্দোগান! বাবা ছিলেন তুর্কি কোস্টগার্ডের একজন সদস্য হওয়াতে তেমন সচ্ছলতা ছিল না পরিবারে! ছাত্রজীবনে এরদোগান National Turkish Student Uninon নামে একটি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এছাড়া, তিনি ১৯৬৯ সাল থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত কাসিমপাসা ক্লাবের সেমি-প্রফেশনাল ফুটবলার ছিলেন। ১৯৯৪ সালে তিনি ইস্তাম্বুলের মেয়র নির্বাচিত হন। তার আগ পর্যন্ত তিনি ফুটবলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
.
রাজনৈতিক জীবন :
.
রাজনৈতিক জীবনের শুরুতে প্রেসিডেন্ট এরর্দোগান নাজিমুদ্দিন এরবাকানের দল 'সাদত পার্টির' সঙ্গে জড়িত থাকলেও ২০০১ সালে প্রকাশ্যে সাদত পার্টি বাদ দিয়ে নিজেই "জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি বা একেপি" নামে একটি দল গঠন করেন। সেই সময় তিনি বলেছিলেন, ‘আমি আজ থেকে আমার পূর্বের পোশাকটি (আগের ইসলামীক দলের পোশাক) খুলে ফেললাম।’

এরদোগান একেপি গঠনের আগে ২০০১ সালের ১৮ জুলাই তুরস্কে নিযুক্ত ইসরাইলি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা মিডিয়ায় প্রকাশ পায়। ঐ বৈঠকে এর্দোগান, ইসরাইলি রাষ্ট্রদূতকে নিশ্চয়তা দেন যে, নতুন যে পার্টি গঠন করা হবে তা কোনোদিনই আমেরিকা ও ইসরাইল নীতির বিরুদ্ধে যাবে না। এমনকি এর্দোগানকে আমেরিকা অনেক আগে থেকেই পছন্দের তালিকায় রেখেছেন বলে উল্লেখ করেছেন তুরস্কের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টিআরটি নিউজের প্রধান নাসুহি গুংগর।
.
দল গঠনের এক বছরের মধ্যে নির্বাচনে একেপি জাতীয় নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। এর আগে ১৯৯৮ সালে এর্দোগান একটি বিতর্কিত কবিতা আবৃত্তি করে রাজনীতিতে নিষিদ্ধ হন এবং ১০ মাসের কারাদণ্ড ভোগ করেন। রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে তিনি ২০০১ সালের নির্বাচনের অংশ নিতে পারেননি। পরে দল ক্ষমতায় গিয়ে সে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে তিনি ২০০৩ সালের উপনির্বাচনে বিজয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রী হন। তার আগে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন আব্দুল্লাহ গুল। এর্দোগান নির্বাচিত হলে তিনি সে পদ ছেড়ে দেন এবং আলঙ্কারিক প্রেসিডেন্টের পদ গ্রহণ করেন।
.
২০০৩ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিন দফায় তিনি তুরস্কের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার জন্য এর্দোগান আর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না জেনে ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়েই তিনি সংবিধান পরিবর্তন করে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য নির্বাচন করেন। আগে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট যেখানে ছিলেন অনেকটা আলঙ্কারিক এবং প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মূল ক্ষমতার মালিক, সেখানে এর্দোগান সংবিধান পরিবর্তন করে নিজের হাতে ক্ষমতা নিয়ে প্রেসিডেন্ট হন। এখন প্রেসিডেন্টই মূলত তুরস্কের ক্ষমতার মালিক। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও তারই একান্ত অনুগত আহমেদ দাউদওগ্লু এখন আলঙ্কারিক প্রধানমন্ত্রী।
.
তুর্কি একমাত্র দেশ যে কিনা ন্যাটো নামক পশ্চিমা সামরিক জোটের অন্যতম এবং একমাত্র সদস্য ।
এই জোট বিশ্বব্যাপী ত্রাসের রাজত্ব প্রতিষ্টা করেছে এবং মুসলিম নিধনে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে ,শুধু তাই নয় আফগানিস্তানে ধ্বংস করে সেখানে শিয়া শাসন প্রতিষ্টার জন্য মার্কিন আগ্রাসনের অংশিদার হিসেবে এই তুরস্ক ৩য় সর্বোচ্চ সংখ্যক সৈন্য পাঠিয়েছিল যারা এখনো যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে।
ক্ষমতায় আসার পর এই কথিত খলিফা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে ইসরাইল সফর করেন এবং ফুল দিয়ে সাহেব ইসরাইলী প্রেসিডেন্টের কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান। এমনকি তুরষ্কের পার্লামেন্টে ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট শিমন পেরেজকে ভাষণ দেওয়ার সুযোগ দিয়ে মুসলমানদের গৌরবময় ইতিহাসকে কলন্কিত করেন!
সফরের ভিডিও :https://youtu.be/PXuNwvXLTH0
.
পর-সমাচার এই যে, আমাদের কিছু অতি উৎসাহী ভাই [ যারা একটি বিশেষ দলের সাথে সম্পৃক্ত] তাদের তথাকথিত সুলতানের মুখরোচক কিছু কথা শুনেই তাকে মুসলমানদের খলিফা, মুসলিম উম্মাহর একমাত্র দরদী নেতা বলে সরলমনা যুবকদের বিভ্রান্ত করছে । চিন্তা করূন, এরকম ল্যাংটা গুনসম্পন্ন মানুষ কিভাবে খলিফা হতে পারে তা আমাদেরবোধগম্য নয় ।
আপনি বা আপনারা বলতে পারেন, তিনি তুর্কিদের বিগত শাসকদের মধ্যে তুলনামূলক মন্দের-ভাল শাসক,তখন বিষয়টা সহনীয় পর্যায়ে থাকে! কিন্তু যখন তাকে উম্মাহর একমাত্র দরদী নেতা, খলিফা, সুলতান, ইসলামীক লিডার, ইসলাম কায়েমের কাণ্ডারী হিসেবে কেউ চিত্রায়িত করে ঠিক তখনই আমাদের প্রবল আপত্তি বাঁধে।
.
এখানে একটা বিষয় সুস্পটভাবে বলা দরকার আর তা হল-"ইসলাম কায়েম" বলতে তথাকথিত ইসলামিস্টরা আসলে কী বুঝান? মানে তারা কি শরীয়াহ আইন কায়েম করার কথা বুঝান ?
তো! শরীয়াহ আইন মোতাবেক মদ উৎপাদন ও বিক্রি কি জায়েজ? বা বেশ্যালয় স্থাপন কি জায়েজ? সবাই বলবেন মোটেই না, কিন্তু খেয়াল করে দেখেন তুরস্কের কথিত "ইসলামী নেতা" এরদোগান সরকারের আমলে এসব কিন্তু নিষিদ্ধ নয় বরং অতীতের চাইতেও কয়েকগুণ বেড়েছে যা অবিশ্বাস্য হলেও সত্য! তুর্কি আইনকে পরিবর্তন করে যেনা বা ব্যাভিচারকে বৈধতা করে দেয়া হয়েছে রাষ্ট্রীয়ভাবে! যেনাকে শাস্তির তালিকা থেকে বাদ দেয়া সম্পর্কে এরদোগানের স্পষ্ট বক্তব্যটি শুনতে পারেন মিলিগ্যাজেট.কম সাইটে।
.
প্রায় এক যুগের অধিক সময় ধরে ক্ষমতায় থাকার পরেও এর্দোগান সরকারের আমলে রাস্তায়, রাস্তায় মদের দোকানগুলো এখনো শুধু সচলই থাকেনি বরং বহু গুণে বেড়েছে! এইতো এই রমাদানেও বিশেষ অফার দিয়ে প্রকাশ্যে মদ বিক্রি হচ্ছে যত্রতত্র! এমনকি হালাল খাবারের উপর ভ্যাট বাড়িয়ে দিয়ে শুকুরের মাংশ ও মদের উপর রাষ্ট্রীয়ভাবে ভ্যাট কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল! এ'কে পার্টি ক্ষমতায় আসার আগে মদের বড় কারখানা ছিল মাত্র ২টি আর এখন হয়েছে ১৮টি! আগে ব্র্যান্ড ছিল মাত্র একটি বা দুইটি আর এখন হয়েছে সাতটি।
.
একবার একটা অনুষ্ঠানে পর্তুগালের এক সাংবাদিক প্রেসিডেন্ট এর্দোগানকে প্রশ্ন করেছিল "আপনি কি আরবের ইসলামকে সমর্থন করেন? মানে তাদের চিন্তা চেতনাকে নিজ দেশে প্রয়োগে বিশ্বাসী কিনা?
উত্তরে মি.প্রেসিডেন্ট সেদিন বলেছিলেন " ওয়াহাবী ইসলাম" তো আমাদের ইসলাম নয়! আমরা ওয়াহাবী চিন্তা-চেতনা ফলো করিনা"! উত্তরটা শুনে সেদিনই খটকা লেগেছিল, তাহলে মি.প্রেসিডেন্ট আবার কোন ইসলাম লালন করেন?
লিংক : https://youtu.be/jnMHJN0BfBI
.
আপনারা যারা আর্ন্তজাতিক নিউজ পেপারগুলো সামান্য ঘাটাঘাটি করেন তারা নিশ্চয়ই জানেন, তুর্কিকে ইউউ তে আর্ন্তভুক্তির জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট এর্দোগান! তবে ইউউ হর্তাকর্তাগন এর্দোগান সরকারকে বেশ কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছিল, ঠিক তাদের চাহিদা মাফিক ইউরোপীয় ইউনিয়নে অন্তর্ভূক্তির জন্য কয়েকটি আইন প্রণয়ন করেছিল এর্দোগান সরকার। সেগুলোর মধ্যে কয়েকটি ছিল :
১. কারও সম্মতিক্রমে যদি অসামাজিক কাজ করা হয় তবে তা শাস্তিযোগ্য নয়!
২. যে কাউকে ধর্ষণ করা হলে, উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ না করা হলে ওই ব্যক্তি শাস্তির সম্মুখীন হবে না বা রাষ্ট্র কর্তৃক মামলা করা হবেনা!
৩. কারও স্ত্রী অসামাজিক কাজ করলে, স্বামী তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা করতে পারবে না! এটা ব্যক্তি স্বাধীনতা স্বামীর কাছে তা আপত্তিজনক মনে হলে ডিভোর্সই সমাধান!
জ্ঞাতব্য যে, এসব আইনের কারণে তুরস্কে গত ১০-১৫ বছরে শিশু ধর্ষণ প্রচুর বেড়ে গিয়েছিল এবং যেনার রাজত্ব কয়েম হয়েছিল! অবশ্য গত বছরের ২২ ফেব্রুয়ারী তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে শিশু নির্যাতন প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নে আন্তঃভুক্তির জন্য যে সকল (যেনা সংক্রান্ত) আইন প্রণয়ণ করেছিলাম তা সম্পূর্ণ ভুল ছিল"।
.
কিন্তু পরিতাপের বিষয় হল, তিনি এই ভুল থেকে শিক্ষা না নিয়ে গতবছরের ৮ ই মার্চ একটি নারী সমাবেশে সেই বলেছেন “ইসলামে হুকুমগুলো আপডেটের বিধান রয়েছে। ১৪শ বছর আগের ইসলামের হুকুমগুলো আজকের বিশ্বে প্রয়োগযোগ্য নয় বরং স্থান, কাল, পাত্রভেদে তা পরিবর্তন হয়”!
.
লিংক :
http://www.mikrofonnews.com/…/islamic-rules-of-14-centuries…
.
চারদিকে যখন তার এমন আপত্তিকর বক্তব্যের সমালোচনা চলছে, তখন কেউ কেউ তাদের প্রেসিডেন্টকে ডিফেন্ড করে বললেন: তিনি আসলে ইসলামের মূল বিধানগুলোর বিষয়ে কথা বলেননি।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে তিনি যদি ইসলামের মুল বিধিবিধান নিয়ে কথা নাইবা বলবেন তাহলে গৌণ বিষয়গুলো নিয়ে তো বলার প্রয়োজনই নাই কারন ওই বিষয়গুলো তো সকলেরই জানা।
যাহোক, আমরা যদি তুরস্কের দিকে তাকাই তাহলে বাস্তবে দেখতে পাবো সেখানে হাল-নাগাদের নামে অসংখ্য হারামকে রাষ্ট্রীয় আইনের মাধ্যমে হালাল করা হয়েছে! এক যুগে অধিক সময় ক্ষমতায় থাকার পরেও সমকামীতাকে বহাল রাখা হয়েছে! এমনকি বিশ্বের সবচেয়ে বড় নাইট ক্লাবটি আজও বন্ধ করা হয়নি।
.
আরেকটি চরম আপত্তিকর বক্তব্য উল্লেখ্য না করলেই নয়, আর তা হল - প্রেসিডেন্ট এর্দোগান সৌদি আরবে রাষ্ট্রীয় সফরে গিয়ে সৌদি চ্যানেল আল-আরাবিয়্যার সাথে একটি সাক্ষাৎকার দেন যা আরবীর পাশাপাশি ইংরেজি সাব-টাইটেল সহ প্রকাশিত হয়! সাক্ষাৎকারে উপস্থাপকের প্রশ্নের জবাবে ধর্মনিরপেক্ষতার ব্যাপারে তুরষ্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, "ব্যক্তি কখনো ধর্মনিরপেক্ষ হতে পারে না। রাষ্ট্র ধর্মনিরপেক্ষ হবে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ধর্মনিরপেক্ষতা মানে সকল ধর্মের প্রতি সহনশীল হওয়া। ধর্মীয় ব্যাপারে রাষ্ট্র নিরপেক্ষ থাকবে এবং রাষ্ট্র সকল ধর্ম ও বিশ্বাস থেকে সমান দূরত্বে থাকবে। এটি কী ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক ? ধর্মনিরপেক্ষতার ব্যাপারে এটিই আমাদের বুঝ। ”
লিংক :
ইংলিশ সাব-টাইটেল : http://bit.ly/2DpNlhL
আরবি সাব-টাইটেল: http://bit.ly/2FPOh3X
সাক্ষাৎকারের পুরো ভিডিও (আরবী) : http://bit.ly/2DpNlhL
.
মোদ্দা কথা হল , ধর্মগুলোর চর্চা হবে শুধুমাত্র ব্যক্তিকেন্দ্রিক কিন্তু রাষ্ট্রের কোন একক ধর্ম থাকতে পারবেনা! তাইতো তিনি জোর দিয়ে বলেছেন "রাষ্ট্র নিরপেক্ষ থাকবে এবং সকল ধর্ম ও বিশ্বাস থেকে সমান দূরত্ব বজায় রাখবে"। আল ইয়াযু বিল্লাহ।
এটাই হল সেকুলারিজমের নব্য থিউরি যা রাষ্ট্র থেকে ধর্মকে আলাদা প্লাটফর্মে নিয়ে গিয়ে ধর্মহীন রাষ্ট্র গঠনে সহায়ক ভুমিকা পালন করে। তাছাড়া অন্য আরেকটি সাক্ষাৎকারে তিনি সুস্পটভাবে বলেছেন "খেলাফতি রাষ্ট্র নয় বরং আমি সেক্যুলার রাষ্ট্র গঠনে বিশ্বাসী"!
লিংক : https://youtu.be/onQC8xzX4i8
.
উপরিউক্ত আলোচনা থেকে আমরা স্পষ্টভাবে একটা কথা জানিয়ে দিতে চাই যে, কিছু চমকপ্রদ ও চিত্তাকর্ষক বক্তব্য শুনে এমন ব্যক্তিকে মুসলিম উম্মাহর আগামী দিনের খলিফা, কাণ্ডারী, সুলতান বলে কোমর বেঁধে যারা প্রচারণা চালাচ্ছেন, শরীয়ত এবং আক্বলের দৃস্টিকোণ থেকে তাদের দাবিটা অসার, অসত্য, অদ্ভুত এবং অবাস্তব মনে করি!
আপনি যদি বলেন তিনি প্রচলিত ভিবিন্ন দেশের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রনেতাদের ন্যায় একজন নেতা, তাহলে এতে আমাদের কোন আপত্তি নেই কিন্তু যখনই দাবি করবেন তিনি একজন ইসলামপন্থী নেতা এবং তার দল মুসলিমপন্থী তখনই আমাদের প্রবল আপত্তি রয়েছে।
আল্লাহর ওয়াস্তে "ইসলামী দল, ইসলামপন্থী,খলিফা এসব নেমপ্লেট ইউজ করে মহামুল্যবান শব্দগুলোকে কুলষিত করবেন না!
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা আমাদের সবাইকে যাবতীয় ফিতনা থেকে হিফাযত করূন! আ-মীন।
.
.
.
আপনাদের দ্বীনীভাই,
আখতার বিন আমীর।

No comments:

Post a Comment

Download AsPDF

Print Friendly and PDFPrint Friendly and PDFPrint Friendly and PDF
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...