Friday 6 March 2020

করোনা ভাইরাস

জুমআর খুতবাহঃ
মূলঃ শাইখ ডঃ আব্দুল ওয়াহিদ হাফিযাহুল্লাহ
অনুবাদঃ শাইখ মুখলিসুর রহমান মাদানী

বিষয়ঃ করোনা ভাইরাস।

মৃত্যুর পদ্ধতি ও উপায় যতই ভিন্ন হোক না কেন মৃত্যু কিন্তু একই এবং তার সময়ও পরিবর্তন হয় না। কবি বলেনঃ
من لم يمت بالسيف مات بغيره *** تعددت الأسباب والموت واحد
অর্থঃ যে তরবারীতে মরে না সে অন্যভাবে মৃত্যু বরণ করে, মৃত্যুর কারণ ভিন্ন হলেও মৃত্যু কিন্তু একই। (মরণ তো মরণি)। এর চেয়েও উত্তম হল আল্লাহর বাণীঃ
(فإِذَا جَاءَ أَجَلُهُمْ لا يَسْتَأْخِرُونَ سَاعَةً وَلا يَسْتَقْدِمُونَ(
অর্থঃ যখন কারও মৃত্যু উপস্থিত হয় তখন এক মূহুর্ত বিলম্ব এবং আগে মৃত্যু দেওয়া হয় না। অর্থাৎ, নির্দিষ্ট সময়েই প্রত্যেক ব্যক্তির মৃত্যু হয়ে থাকে।
এ বাস্তবতা সকলেরই জানা। কিন্তু খুব কম লোকই সে অনুযায়ী আমল করে। আর এ বাস্তবতা না জানার সবচেয়ে বড় কারণ হলঃ আল্লাহর উপরে আস্থার অভাব ও দূর্বলতা। যে ব্যক্তি জানে যে, তক্বদীর লিখিত হয়ে আছে, আর আল্লাহর নির্দেশ ব্যতীত কোন বিষয়ই সংঘটিত হয় না, আল্লাহ্ যা নির্ধারণ করেছেন তা সংঘটিত হবেই সেখান থেকে কারও পালানোর কোন সুযোগ বা উপায় নেই।
যখন কোন ব্যক্তির হৃদয়ে ইহা গেঁথে যায়, সে এর প্রতি দৃঢ় বিশ্বাসী হয়ে যায়, তখন তার হৃদয় প্রশান্তি লাভ করে। তক্বদীরের ব্যাপারে তার চিন্তা ও টেনশন দূর হয়ে যায়। তার হৃদয় থেকে যাবতীয় সংশয় ও বাতিল চিন্তা বিদায় নেই।
তাই আমাদের সকলের উপর আবশ্যক হলঃ অন্তরে আল্লাহর প্রতি অগাধ বিশ্বাস ও আস্থা তৈরী করা। আর ইহাকে কুরআন ও হাদীস দ্বারা সুশোভিত করা যাতে আমরা প্রশান্তিময় জীবন যাপন করতে পারি।
বর্তমানে সময়ে করোনা ভাইরাস নিয়ে সকলে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছে। আজকের খুতবায় এ সম্পর্কে আমরা গুরুপত্বপূর্ণ কিছু আলোচনা করব ইনশা আল্লাহ্।
১। সকল অসূখ ও ভাইরাস আল্লাহর লিখিত তাক্বদীর অনুযায়ী আসে। অতএব, প্রত্যেকের ভাগ্যে যা রয়েছে তা ঘটবেই। আর যা তার ভাগ্যে নেই সেটা ঘটবে না। তাহলে কেন আমরা ভীত-সন্ত্রস্ত হচ্ছি? হাদীসে বর্ণিত হয়েছেঃ
واعلم أن ما أصابك لم يكن ليخطئك، وما أخطأك لم يكن ليصيبك.
অর্থঃ ইবনে আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেনঃ) তুমি জেনে নাও যে, যা তোমার ভাগ্যে ঘটেছে তা ব্যর্থ হওয়ার ছিল না। আর যা ঘটেনি তা তোমার পাওয়ার মত জিনিষ ছিল না।
২। করোনা ভাইরাস অন্যান্য ভাইরাসের মতই ১টি রোগ। এর আগে সোয়াইন ফ্লু, বার্ড ফ্লু ও সারেসসহ অনেক ভাইরাস অতিক্রম করেছে। আমাদের উচিৎ, অতীত অভিজ্ঞতা থেকে উপকৃত হওয়া বা অতীত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো। কেউ যেন এটার অপব্যবহার করতে না পারে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। কেননা, ভাইরাসে মরা লোকদের থেকে রোড দূর্ঘটনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সংখ্যা অনেক বেশী, তাহলে কেন আমরা ভাইরাসের কারণে এত বিচলিত হয়ে যাচ্ছি!?
উদাহরণ স্বরুপঃ
করোনা ভাইরাসে গেল দু’মাসে এ পর্যন্ত আনুমানিক ৩৫০০ লোক মারা গেছে। অথচ ঠান্ডায় মারা গেছে প্রায় ৭০ হাজার বনী আদম। মেলেরিয়াতে মারা গেছে প্রায় ৬ লক্ষ্য মানুষ, আত্মহত্যায় মারা গেছে ১ লাখ ৫৩ হাজার মানুষ, সড়ক দূর্ঘটনায় মারা গেছে প্রায় দুই লক্ষ্য মানুষ, এইড্সে মারাগেছে ৩ লাখ ৪০ হাজার মানুষ। অভারে তাড়নায় মারা গেছে সাড়ে ৩ লাখের বেশী মানুষ, ধুমপানে মারাগেছে প্রায় ১২ লক্ষ্য মানুষ।
৩। ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায় গ্রহণ করা সময়ের দাবী। তবে অধিকাংশ মানুষের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে তক্বদীর ব্যতীত ভাইরাস নিজেই মানুষের সংক্রমিত হচ্ছে!? আর এ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হচ্ছে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যগত সতর্কতা। একই সময়ে মানুষ তাক্বদীর নির্ধারণকারী মহান আল্লাহ্ ও তাক্বদীরকেই ভুলেগেছে!?
৪। করোনা ভাইরাস কেন্দ্রীক অনেক লোকের ভয় মাত্বক পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে। ফলে তাদেরকে দেখবেন কোন কিছু স্পর্শ করে না, এমনকি মানুষের সাথে মুসাফা করাও ছেড়ে দিয়েছে। তারা শুধু মুখে সালাম আদান-প্রদানকেই যথেষ্ঠ মনে করছে। যখনি কোন কিছু ধরছে বা স্পর্শ করছে তখনি তারা সাবান দিয়ে হাত ধৌত করছে অথবা জীবানু নাষক তরল পদার্থ ব্যবহার করছে। মাস্ক ব্যবহার করে মনে করছে ভাইরাস মনে তাদেরকে চতুর্দিক থেকে ঘিরে রেখেছে!?
আর তাদের যদি সামান্য জর-সর্দি হয় তবে দৌড়ে হাসপাতালে যায়, সে মনে করে তার বাড়ীর কারও হয়তো এ অসূখ রয়েছে অথবা তার থেকেই তার বাড়ীর কাউকে এ ভাইরাস আক্রান্ত করতে পারে। আর এটাই হল আল্লাহর প্রতি দূর্বল আস্থা, ভরসা ও বিশ্বাসের বহিঃপ্রকাশ। আমার কথার সত্যতা জানতে চায়লে মাস্ক ও জীবানু নাষক বিক্রেতাদের দিকে দেখুন। তাদের পন্য শেষ হয়ে বাজারে এসবের দামও বেড়গেছে।
৫। মানুষের এই ভীত সন্ত্রস্ত অবস্থায় অনেক লোক আবার গুজব রটিয়ে মানুষের ভয়কে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে!? এরা দু’ধরণেরঃ ১। এ লোকেরা গুজব তাদের কাছে যেভাবে আসছে সেভাবেই তা অন্যের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। ২। এরা নিজেরা গুজব তৈরী করে। উপরোক্ত দু’প্রকার লোকই গুনাহ্গার ও পাপিষ্ট। অতএব, মুসলিম ব্যক্তি এ অবস্থায় আল্লাহর নিম্নোক্ত আয়াতের উপরে আমল করবেঃ
{وَإِذَا جَاءَهُمْ أَمْرٌ مِنَ الْأَمْنِ أَوِ الْخَوْفِ أَذَاعُوا بِهِ وَلَوْ رَدُّوهُ إِلَى الرَّسُولِ وَإِلَى أُولِي الْأَمْرِ مِنْهُمْ لَعَلِمَهُ الَّذِينَ يَسْتَنْبِطُونَهُ مِنْهُمْ وَلَوْلَا فَضْلُ اللَّهِ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَتُهُ لَاتَّبَعْتُمُ الشَّيْطَانَ إِلَّا قَلِيلًا} [النساء: ৮৩]
অর্থঃ আর যখন তাদের কছে পৌঁছে কোন সংবাদ শান্তি-সংক্রান্ত কিংবা ভয়ের, তখন তারা সেগুলোকে রটিয়ে দেয়। আর যদি সেগুলো পৌঁছে দিত রসূল পর্যন্ত কিংবা তাদের শাসকদের পর্যন্ত, তখন অনুসন্ধান করে দেখা যেত সেসব বিষয়, যা তাতে রয়েছে অনুসন্ধান করার মত। বস্তুতঃ আল্লাহর অনুগ্রহ ও করুণা যদি তোমাদের উপর বিদ্যমান না থাকত তবে তোমাদের অল্প কতিপয় লোক ব্যতীত সবাই শয়তানের অনুসরণ করতে শুরু করত! সূরাহ্ নিসা #৮৩।
অতএব, প্রত্যেক মুসলিমের উপর ওয়াজিব হলঃ যে কোন সংবাদ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া এবং গুজব না ছড়ানো। বরং সকলের উচিৎ, নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে সংবাদ গ্রহণ করা অথবা চুপ থাকা।
মুমিন ব্যক্তি এ দুনিয়াতে বালা-মসীবতে পড়বেই। যেমনঃ অসূখ-বিসূখ, শত্রু ইত্যাদি। মহান আল্লাহ্ এ সকল বিষয় থেকে বাঁচার জন্য মুমিন ব্যক্তিকে উপায় বলে দিয়েছেন। বিভিন্ন ঔষধ পত্র থেকেও তা শক্তি শালী প্রতিশেধোক। অনেকে তো এর উপরেই ভরসা করে যা ঠিক নয়। বরং মুমিন ব্যক্তি এক আল্লাহর উপর ভরসা করে ইহাকে অসীলা হিসেবে গ্রহণ করে।
ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকার আল্লাহ্ প্রদত্ত ১টি উত্তম উপায় হলঃ সকাল সন্ধ্যার যিকির নিয়মিত পাঠ করা। মহান আল্লাহ্ বলেনঃ
{لَهُ مُعَقِّبَاتٌ مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ وَمِنْ خَلْفِهِ يَحْفَظُونَهُ مِنْ أَمْرِ اللَّهِ} [الرعد: ১১]
অর্থঃ তাঁর পক্ষ থেকে অনুসরণকারী রয়েছে তাদের অগ্রে এবং পশ্চাতে, আল্লাহর নির্দেশে তারা ওদের হেফাযত করে। সূরাহ্ রা’দ #১১।
অতএব, কোন মুসলিম বান্দা যখন ফজর নামাজ শেষ করবে তখন সালাতান্তে পঠিত দুয়াসমূহ পাঠ করবে। অতঃপর সকালের যিকিরসমূহ আদায় করবে। যখন আসরের সালাত আদায় করবে তখন আগে সালাতান্তে পঠিত দুয়া পাঠ করবে অতঃপর সন্ধ্যায় পঠিত দুয়া সমূহ পাঠ করবে। যেমনঃ মহান আল্লাহ্ বলেনঃ
(فَاصْبِرْ عَلَى مَا يَقُولُونَ وَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ قَبْلَ طُلُوعِ الشَّمْسِ وَقَبْلَ الْغُرُوبِ (
অর্থঃ অতএব, তারা যা কিছু বলে, তজ্জন্যে আপনি ছবর করুন এবং, সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের পূর্বে আপনার পালনকর্তার সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা করুন। সূরাহ্ ক্বফ #৩৯।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের জন্য সুরক্ষায় থাকতে যেসকল দুয়া দিয়েছেন তার ১টি হলঃ
عَنْ خَوْلَةَ بِنْتِ حَكِيمٍ السُّلَمِيَّةِ, عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: “مَنْ نَزَلَ مَنْزِلا فَقَالَ: أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ لَمْ يَضُرَّهُ شَيْءٌ حَتَّى يَرْتَحِلَ مِنْ مَنْزِلِهِ ذَلِكَ”.
অর্থঃ খাওলাহ্ বিনতে হাকীম আস্ সাল্মিইয়্যাহ্ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন স্থানে গিয়ে বললঃ أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ
উচ্চারণঃ “আউযু বি-কালিমাতিল্লাহিত্তাম্মাতি মিন শাররি মা খলাক্বা”
অর্থঃ আল্লাহর পরিপূর্ণ বাক্যসমূহ দ্বারা আমি তাঁর সৃষ্ট অনিষ্ট থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। এ দুয়াটি পাঠ করলে ঐ স্থানে অবস্থান করা পর্যন্ত কোন জিনিষ তার ক্ষতি করতে পারবে না। সহীহ্ মুসলিম।
কোন খালী মাঠ, বাসা বাড়ী অথবা কর্মস্থলে গিয়ে উপরোক্ত দুয়াটি পাঠ করতে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে ওসিয়ত করেছেন।
বালা-মসীবত থেকে বাঁচার জন্য পঠিত দুয়ার ১টি হলঃ
(بِسْمِ اللهِ الَّذِيْ لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِيْ الأَرْضِ وَلاَ فِيْ السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمِ)
উচ্চারণঃ বসিমল্লিা-হল্লিাযী লা-ইর্য়াযুরু মাআ’স্মহিি শাইউন ফলি আরযি ওয়ালা- ফস্ িসামায়ি ওয়াহুওয়াস্ সামী-উল আলী-ম।
র্অথঃ শুরু করছি সইে আল্লাহর নাম,ে যার নামরে সাথে আসমান এবং যমীনরে কোন বস্তুই কোন ক্ষতি করতে পারবে না, তনিি মহাশ্রোতা মহাজ্ঞানী।
যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যা উপরের দুয়াটি ৩ বার পাঠ করবে ইনশা আল্লাহ্ কোন কিছু তার ক্ষতি করতে পারবে না। উপরোক্ত হাদীসটি উসমান বিন আফ্ফান রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে সুনানে আবূ দাঊদ ও তিরমিযীতে বর্ণিত হয়েছে।
ইমাম কুরতুবী রাহিমাহুল্লাহ্ বলেনঃ উপরের হাদীসটি সহীহ্ এবং বাস্তব সত্য। কারণ, আমি যখন থেকে এ হাদীসটি শুনেছি তখন থেকে এর উপরে আমল করাকালীন কোন কিছু আমার ক্ষতি করতে পারেনি। কিন্তু হঠাৎ আমি তা পরিত্যাগ করলে এক রাত্রে মদীনায় ১টি বিচ্ছু আমাকে ধ্বংশন করে। খেয়াল করলে বুঝতে পারলাম আমি সে রাত্রে উক্ত দুয়াটি পাঠ করিনি।
ভাইরাস, বালা-মসীবত ও ক্ষতিকর জিনিষ থেকে বাঁচার ১টি উপায় হলঃ প্রত্যহ সকালে ৭টি আজওয়া খেজুর খাওয়া।
হাদীসে বর্ণিত হয়েছেঃ
عَنْ سعد بن أبي وقاص رضي الله عنه قال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم- يقول: من تصبَّح سبع تمراتٍ عَجْوَة لم يضره ذاك اليوم سمٌّ ولا سِحْر.
অর্থঃ সা’দ বিন আবী ওয়াক্কাস রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি সকালে ৭টি আজওয়া খেজুর খায় কোন বিষ ও জাদু সে দিন তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। বুখারী ও মুসলিম।
আমাদের সকলের উচিত, আল্লাহর উপর অগাধ আস্থা ও বিশ্বাস রাখা। যে ব্যক্তি আল্লাহর উপরে ভরসা রাখে তিনি তার জন্য যথেষ্ঠ হবেন। ভাইরাস, মহামারি ও ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য অতিরঞ্জন ব্যতীত বিভিন্ন উপায় অবলম্ন করাতে দোষ নেই। তবে উক্ত উপায়ের উপরে ভরসা করা যাবে না।
জ্ঞাতব্য যে, যে কোন বালা-মসীবত আমাদের পাপের কারণেই এসে থাকে, আর তাওবার মাধ্যমে তা দূর হয়ে যায়। আর অশ্লীলতা বিস্তারের দরুন বিভিন্ন ভাইরাস সৃষ্টি হচ্ছে যা আগে ছিল না। অতএব, তাওবাহ্, ক্ষমা প্রার্থনা, অধিকহারে আল্লাহর আনুগত্য এবং দুয়ার মাধমেই মহামারি দূর হওয়া সম্ভব।
হে আল্লাহ্ তুমি আমাদের থেকে মহামারি, জিনা, ভূমি কম্প, বিভিন্ন ধরণের পরীক্ষা, প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য যাবতীয় ফেতনা ফাসাদ উঠিয়ে নাও। আমীন।

No comments:

Post a Comment

Download AsPDF

Print Friendly and PDFPrint Friendly and PDFPrint Friendly and PDF
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...