Monday 2 March 2020

দায়েশ-ইখওয়ান সম্পর্ক ও তাকফীরী উৎপাদনের ইতিহাস


·
মদিনার অন্যতম শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস ও ফাক্বীহ, আল-হাফিযুল মুতক্বিন, আশ-শাইখুল ‘আল্লামাহ ড. মুহাম্মাদ বিন হাদী আল-মাদখালী (হাফিযাহুল্লাহ) প্রদত্ত ফতোয়া:
প্রশ্ন: ❝ইনি জিজ্ঞেস করছেন, তানযীমুদ দায়েশ (ISIS) এবং মুসলিম ব্রাদারহুডের মতাদর্শের মধ্যে সম্পর্ক কী?❞
উত্তর: ❝তারা (দায়েশ) তাদেরই (ব্রাদারহুডের) অন্তর্ভুক্ত। তারা তাদের একটি অংশ। দায়েশ জামা‘আতুন নুসরা (নুসরা ফ্রন্ট) থেকে এসেছে। জামা‘আতুন নুসরা হলো প্রাক্তন দল, যেটা আফগানিস্তানে উপস্থিত ছিল, যার নাম আল-কায়েদা। আর আল-কায়েদা হলো ‘আব্দুল্লাহ ‘আযযাম ও উসামা বিন লাদেনের দল। তারা সবাই সাইয়্যিদ কুতুবের মানহাজের অনুসারী, এবং সাইয়্যিদ কুতুব হাসান আল-বান্নার দাওয়াতের ফলস্বরূপ (তাদের সাথে) সংযুক্ত হয়েছে। এটা হলো সনদ, আপনারা যদি চান তাহলে নিজেরা গবেষণা করুন তাদের কিতাব থেকে। মাহমুদ ‘আব্দুল হালীমের “ইখওয়ান আল-মুসলিমীন : আহদাসুন সান‘আতিত তারীখ” পড়ুন; তিনি ছিলেন (ব্রাদারহুড) সংগঠনের একজন নেতা এবং হাসান আল-বান্নার সহকর্মী। তিনি এই বিষয়ে চার খণ্ড লিখেছেন।
তারা হলো শ্রেষ্ঠ মিথ্যুকদের অন্তর্ভুক্ত। তিনি উল্লেখ করেছেন, আমি আপনাদেরকে একটা কাহিনী শোনাব, যেটা এই কিতাবের মধ্যে পাওয়া যায়। আপনারা এই কিতাবে খুঁজে দেখতে পারেন। যেহেতু আমি ইতোমধ্যে এর রেফারেন্স দিয়েছি। এবং আপনি (এই কিতাবে) খুঁজে দেখার আগ পর্যন্ত মুহাম্মাদ ইবনু হাদী থেকে কিছু গ্রহণ করিয়েন না। সে বলেছে, “যখন আমরা, এবং যখন মুসলিম ব্রাদারহুড কোনো আর্থিক সংকটে পড়ত, আমরা ফিলিস্তিনের জন্য চাঁদা ওঠানোর স্লোগান দেওয়া শুরু করতাম।”
মানে তারা ফিলিস্তিনের জন্য চাঁদা চাইত। কিন্তু আসলে চাঁদা কাদের জন্য ছিল? আসলে এগুলো ছিলো তাদের ও তাদের পকেটের জন্য। আপনারা কয়েক বছর আগে দেখেছেন—বেশি আগে নয়—(তারা টাকা ওঠাচ্ছে) অন্যদের হিফয করানোর জন্য এবং এই ছোটো বাক্সগুলো, তারা এগুলো চাঁদার জন্য চালনা করত। তারা এগুলো সংগ্রহ করত আর এগুলো কোথায় যেত? এগুলো সন্ত্রাসীদের কাছে যেত। এটা বিদ্যমান আছে, গুগলে দেখুন, আপনারা এগুলো অডিয়ো ও ভিডিয়ো-সহ পাবেন।

তারা আমাদের দ্বীনের নামে ধোঁকা দেয়, এই দেশে এবং আমভাবে অন্যান্য মুসলিম দেশে। মুসলিমদের মাঝে ধর্মীয় আবেগ (সহজে) উদ্বেলিত হয়। আপনাকে যদি আহ্বান করা হয়, এবং ইসলামের নামে আপনার কাছ থেকে একটা মুরগি চাওয়া হয়, আপনি একটা উট নিয়ে আসবেন, আপনি কিছুই মনে করবেন না। একজন নারী আসবে এবং তার সব গহনা খুলে আপনাকে দিয়ে দিবে। একজন পুরুষ তার পকেটে যা আছে, তার সব দিয়ে দিবে যদি সে দেখে মুসলিমদের ওপর কী বিপদ নেমে এসেছে।
কিন্তু চিন্তার বিষয় এটা নয়। আসল চিন্তা হলো, এটা (চাঁদা) সত্যিই কি তাদের (মজলুম মুসলিমদের) জন্য ছিল? এটা শুনুন, “যখন মুসলিম ব্রাদারহুড আর্থিক সংকটে পড়ত, তখন আমরা ফিলিস্তিনের জন্য চাঁদা উঠানোর নামে শ্লোগান দিতাম।” আমি আপনাদেরকে বলছি, (আমার কথা) বিচার করবেন না, যতক্ষণ না আপনি এটা বলছেন: যদি বিষয়টি সত্য হয়, হে মুহাম্মাদ ইবনু হাদী, তাহলে হুকুম লাগান, এই কিতাবটিতে ফিরে যান।
আপনি যদি খুঁজে পান (কথাগুলো), তাহলে বলুন, আল্লাহ লোকটিকে ক্ষমা করুন। এই বক্তব্য বিদ্যমান আছে, তারাই এটা লিখেছে এবং রেকর্ড করেছে, তারা নিজেরা। তাহলে, যদি তারা আপনাকে বর্তমানকালে দ্বীনের নামে ধোঁকা দেয়, তাহলে এটাকে অদ্ভুত ভাববেন না। আমরা তাদের দ্বারা ধোঁকা খেয়েছিলাম (আল্লাহর দ্বীনের) নামে, সুতরাং তখন আমরা তাদের খপ্পরে পড়েছিলাম। কিন্তু “মুমিন একই গর্তে দুইবার দংশিত হয় না।” (সাহীহ বুখারী) একই গর্তে দুইবার! একটা অতিরিক্ত দংশনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে জোর দেওয়ার জন্য।
তবে আমরা তাদের ব্যাপারে প্রত্যেক ক্ষেত্রে অসচেতন হব না, এটা সম্ভব না। এটা তাদের কিতাবাদিতে মওজুদ আছে, তারা নিজেরাই রেকর্ড করেছে, খোলামেলাভাবে দাবি ও দম্ভোক্তি করেছে। আমরা আল্লাহর কাছে (এই জীবন ও পরবর্তী জীবনের) নিরাপত্তা কামনা করছি।
এখানে পয়েন্ট হলো, এই দল, দায়েশ, এরা জাবহাতুন নুসরা থেকে বিভক্ত হয়েছে এবং জাবহাতুন নুসরা ছিল আল-কায়েদার অন্তর্ভুক্ত। আর আপনারা ইতোমধ্যে জানেন যে, তিন বছর আগে কী হয়েছিল, যেখানে জাবহাতুন নুসরা আল-কায়েদার কাছে বায়াত দিয়েছিল, তারপর তাদের থেকে বের হয়ে যায় এবং এর থেকে দায়েশ বের হয়ে আসে। আল-কায়েদা ‘আব্দুল্লাহ ‘আযযাম ও উসামা বিন লাদেনের সংগঠন হিসেবে সুবিদিত। এসব দল হলো সাইয়্যিদ কুতুবের জামা‘আতের অংশ, ১৯৬৫ সালের জামা‘আত, যেটা মুসলিমদের কাফির মনে করত।
আমি আপনাদেরকে জানাব, আমার সাথে এই ব্যাপারে কী হয়েছিল, ১৪১২ হিজরিতে, দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় মাসে। তখন যা ঘটেছিল আফগানিস্তানে, যেমনটা তারা বলে, মুজাহিদীনরা নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ শুরু করে, যার ফলস্বরূপ শাইখ জামীলুর রাহমান মারা যান। তারপর আমাদের ছেলেদের একজন যে ১৯ বছরের কাছাকাছি বয়সী ছিল, যাকে তারা এখান থেকে আফগানিস্তানে নিয়ে যায়, সে আমার কাছে আসল। তার নাম ‘আব্দুর রাযযাক্ব। আল্লাহকে তার জন্য নিরাপত্তা নির্ধারণ করার পর সে আমার কাছে আসল।
আমি তাকে বললাম, “হে ‘আব্দুর রাযযাক্ব, তুমি যা দেখেছ তা আমাদের বলো।” সে বলল, “আমরা আপদ দেখেছি।” আমি বললাম, “কী দেখেছ?” সে বলল, “আমরা আনসারের শিবিরে থাকতাম। তাদের দলের শিবির, ‘আব্দুল্লাহ ‘আযযাম ও উসামার দল।” সে বলল, “তারা আমাদের মাঝে এই কিতাবগুলো বিতরণ করত। তারা একটা কিতাব নিয়ে আসল। এটা অন্যান্য কিতাবের মতো কিতাব আকারে ছাপা হয়নি ছাপাখানায়, এবং তখনও পাণ্ডুলিপি আকারেই ছিল।” এর নাম ছিল—‘বায়ানু তালবিস উলামা-ই-ইবলিস (ইবলিসপন্থি উলামাদের ধোঁকাবাজির বিবরণ)’।
কিতাবটিতে যা রয়েছে তা হলো, “(এক) আমরা—আল্লাহর প্রশংসায়—দুনিয়াতে এমন কোনো রাষ্ট্র চিনিনা, যেটা ইসলাম দিয়ে বিচার ফয়সালা করে। (দুই) অধিকন্তু আমরা মনে করি সব শাসক মুরতাদ, কাফির; (তিন) আল্লাহর দ্বীনে তাদের কোন অংশ নেই। চার. “ফাহাদের সাথে সাদ্দামের (যে কিনা কমিউনিস্ট কাফির) কোনো পার্থক্য নেই”, অর্থাৎ বাদশাহ ফাহাদ রাহিমাহুল্লাহ। পাঁচ. সে (‘আব্দুর রাযযাক্ব ছেলেটি) কথা বলতে লাগল কিতাবটিতে লেখা এই অংশে আসা পর্যন্ত, “যতক্ষণ না নিফাক্বের স্তম্ভসমূহ আসল, কুফরির সর্দার ও আলে সউদের শাসকদের সবকিছুর ন্যায্যতা প্রতিপাদনকারীদের নেতা ‘আব্দুল ‘আযীয বিন ‘আব্দুল্লাহ বিন বায।”
সে বলল, “সেই আল্লাহর কসম, যিনি ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই, আমি আপনাকে কিতাবটা দিব, এবং আপনি শুরুর অংশ পড়তে পারবেন।” আমি কিতাবটা নিলাম। আমি এটা ধরলাম। বললাম, “এটা আমার জন্য। বরং এটা তোমার জন্য। তুমি আমার সাথে যাবে এবং আমরা শাইখ ‘আব্দুল ‘আযীয (বিন বায) এর কাছে যাব।” সে বলল, “আমি যাব আপনার সাথে।” তারপর আমি তাকে বললাম, “আমাকে বল, তারা এই কিতাব কীভাবে বিতরণ করে?”
সে বলল, এই কিতাব আল-কাওয়াশিফুল জালিয়্যাহ ফি কুফরিদ দাওলাতিস সা‘উদিয়্যাহ (স্পষ্টরূপে সৌদি রাষ্ট্রের কুফরি উন্মোচন)। [এটা খারিজীগুরু আবূ মুহাম্মাদ আল-মাক্বদিসীর লেখা গ্রন্থ – অনুবাদক] আপনারা সবাই এই কিতাবের ব্যাপারে শুনেছেন, অতীতে বোম্বিংয়ের সময়। সে বলল, “এই কিতাবটা তরুণদের মধ্যে প্রথমে যে শিবিরে প্রবেশ তাকে দেওয়া হয়।” প্রথম পর্যায়ের লোকজন, যাদেরকে তারা এই কিতাবটা দেওয়ার চেষ্টা করে, তারা হলো সৌদির লোকজন, দ্বিতীয়ত আরব উপসাগরীয় দেশগুলোর লোকজন, তৃতীয়ত অন্যান্য আরব দেশের লোকজন, চতুর্থত বাকি মুসলিমরা।
অর্থাৎ, তাদের স্তর রয়েছে। যদি তাদের গ্রুপ ছোটো হয়, তারা সৌদিদের দিয়ে শুরু করে। যদি তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় ও স্ফীত হয়, তাহলে তারা আরব উপসাগরীয় দেশগুলোর লোকদের দিকে ধাবিত হয়। একইভাবে যদি তারা বৃদ্ধি পায় ও স্ফীত হয়, তাহলে তারা বাকি আরব দেশগুলোর লোকদের দিকে ধাবিত হয়। আর যখন তারা আরও বৃদ্ধি পায় ও স্ফীত হয়, তখন তারা বাকি মুসলিমদের দিয়ে শুরু করে। সুতরাং তারা আমাদের (সৌদিবাসী) দিয়ে শুরু করে, আপ্যায়ন করে, যাতে করে তাকফীর শিখাতে পারে।
তো আমি কিতাবটা নিলাম। এবং আল্লাহ নির্ধারণ করেছিলেন যে, আমরা শাইখ রাহমাতুল্লাহি ‘আলাইহ এর কাছে যাব। শাইখানা (আমাদের উস্তাদ), শাইখ ‘আব্দুল ‘আযীয বিন বাযের কাছে গেলাম, আল্লাহ তাঁর ওপর রহম করুন। আমরা কথা বললাম। ওই সময় মজলিস বড়ো ছিল। আর মুজাহিদীন, অর্থাৎ জামা‘আতুল কুরআনি ওয়াস সুন্নাহ, যেটা শাইখ জামাল উদ-দ্বীন আর-রাহমান এর জামা‘আত ছিল, সেটাকে সাহায্য করা এবং তাঁদের সাথে যা হয়েছে সেই ব্যাপারে কথা হচ্ছিল। আল্লাহ তাঁর (শাইখ জামীলুর রাহমান) ওপর রহম করুন।
অনেক কথাই হচ্ছিল। আমি বললাম, “ইয়া শাইখ।” তিনি বললেন, “না‘আম।” (বললাম) “আপনি কি আমাকে কথা বলার অনুমতি দিবেন?” তিনি বললেন, “না‘আম, এগিয়ে যান।” শাইখের ডান দিকে ছিলেন শাইখানা আশ-শাইখ রাবী‘ এবং আমি ছিলাম তাঁর বাম ও সামনের দিকে, আর তাঁর নিচে ছিল সাফার আল-হাওয়ালী, সেখানে সবাই তাঁর নিচে ছিল। আমি বললাম, “ইয়া শাইখ।” তিনি বললেন, “না‘আম।” আমি বললাম, “আমি আপনাকে কিছু পড়ে শোনাব।” তিনি বললেন, “এগিয়ে যান।”
তো আপনাদেরকে যেসব বললাম তা ওনাকে পড়ে শোনালাম। তিনি বললেন, “লা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ, লা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ, লা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ।” তিনি তারপর কিতাবটি নিলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন, “এটা আমার জন্য?” আমি বললাম, “এটা আপনার জন্য।” শাইখের পোশাকের পকেট ভেতরের দিকে ছিল, তিনি তা খুললেন এবং কিতাবটা ভেতরে রেখে দিলেন।
আমি বললাম, “আরও আছে, শাইখ। আব্দুর রাযযাক্ব, দাঁড়াও। শাইখকে বল যে, তরুণরা আফগানিস্তানে এই শিবিরে গেলে কী করে, আল-আনসারের শিবিরে।” তারপর সে সেসব বলল, যেগুলো আপনারা আমার কাছে শুনলেন। তিনি (শাইখ ইবনু বায) বললেন, “আল্লাহর কসম, তাদের ব্যাপারে আমরা এটা জানতাম না। লা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ। আল্লাহর কসম, তাদের ব্যাপারে আমরা এটা জানতাম না।”
এটা হলো তাদের অবস্থা ভাইয়েরা! চিৎকারের আওয়াজ ব্যাথার মাত্রার ওপর নির্ভর করে, তা আঘাতের (জোর) অনুযায়ী হয়। আঘাত যদি শক্তিশালী হয়, তাহলে সে আপনার কাছে তীব্র চিৎকারের সাথে আসবে। আঘাত যদি আস্তে হয়, কেউ তার আওয়াজ শুনবে না। তারা আমাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছে। কারণ তাদের সাথে যা আছে আমরা তা উন্মোচন করেছি। তারা আমাদের বিরুদ্ধে কথা বাড়িয়ে দিয়েছে, তবে এতে আমাদের কিছু যায় আসে না, ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ যদি আপনার মাধ্যমে একজন ব্যক্তিকে হেদায়েত দান করেন, তাহলে তা আপনার জন্য লাল উটসমূহের চেয়েও উত্তম। আল্লাহ যদি আমাদের সন্তানদের মধ্য থেকে মাত্র একজনকে এসব মতাদর্শ গ্রহণ করা থেকে বিরত রাখেন, আল্লাহ তার মা ও বাবার ওপর অনুগ্রহ করেন এবং একটি সন্তানকে মুক্ত রাখেন (এসব মতাদর্শ থেকে), তাহলে আল্লাহর কসম, যিনি ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই, যার ওপর সূর্য উদিত হয় ও অস্ত যায় (অর্থাৎ দুনিয়া), তার চেয়ে এটা আমার কাছে অধিক প্রিয়।
তারা যা বলে, তা তাদেরকে বলতে দিন। আমরা লোক জমা করছি না। আর আমরা সংখ্যাবৃদ্ধিও করতে চাই না। আমরা মানুষের দ্বীন ও দুনিয়ার ব্যাপারে নিরাপত্তা ও বিশুদ্ধতা চাই। বস্তুত হেদায়েত হলো মহান আল্লাহর হাতে।❞
·
তথ্যসূত্র:
https://www.youtube.com/watch?v=rhtNzjizWU4 (অডিয়ো ক্লিপ)।
.
অনুবাদক: রিফাত রাহমান সিয়াম
সম্পাদক: মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ মৃধা

No comments:

Post a Comment

Download AsPDF

Print Friendly and PDFPrint Friendly and PDFPrint Friendly and PDF
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...