Tuesday 8 August 2017

শিয়াদের ঈমান-আকীদা


শিয়া ইসনা আশারিয়াদের আকীদা- বিশ্বাসের সংখিপ্ত পরিচয় নিম্ন তুলে দেওয়া হোল। সাথে আরো দেওয়া হোল ইমান ও ইসলাম ভঙ্গের কারন গুলিও। যেন পাঠক তার নিজ বিবেচনায় শিয়াদের নাস্তিক ও মুরতাদ হওয়ার বিষয়ে সঠিক ধারনা লাভ করতে পারেন।
১) আল্লাহ আলী রাঃ’র কাছে অহী নাজেল করেন কিন্তু জিব্রাইল ভুলে সেই অহী নিয়ে আসে মুহাম্মাদ সঃ এর কাছে- (আল মুনিয়া ওয়াল আমাল/৩০ পৃ)।
২) আল কোরআন সম্পূর্ণ নয়। আসল কোরআন আসমানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তখন যখন সাহাবারা মুরতাদ হয়ে গেছে-( আত-তানবিহ অররাদ্দ-আল মুলিতি/২৫ পৃ)।
৩) কোরআনের অনেক আয়াত আয়াত নয় তা বাজে কথা ( নাউজুবিল্ললাহ)-( আল-অসীকা/২২১ পৃ)।
৪) রাসুল সঃ নিজেই আংশিক শিয়া দর্শন প্রচার করে গেছেন। বাকিটা হজরত আলী প্রচার করেছেন-( এহকাকুল হক- তাসাত্তুরী/২-৮৮ পৃ)।
৫) শিয়া ইমামরা আল্লাহ ও তার সৃষ্টির মাঝখানে মধ্যস্থতা কারী-( বেহারুল আনোয়ার/৯৯ঃ২৩)।
৬) শিয়া ইমামদের কবর জিয়ারত কা’বায় হজ্জ করার চেয়ে উত্তম-( সাওয়াবুল আ’মাল/১২১ পৃ)।
৭) যে হুসাইন রাঃ’র কবর জিয়ারত করে সে যেন আল্লাহর আরশ জেয়ারত করে-( আল-মাজার আল-মুফিদ/৫১ পৃ)।
৮) হুসাইন রাঃ’র কবরের মাটি সকল রোগের ঔসুধ-( আল-আমালি/৯৩ঃ ৩১৮)।
৯) আল্লাহ ও শিয়া ইমামদের মধ্যে কোন পার্থক্য নাই-নাউজুবিল্লাহ!-( মাসাবিহুল আনোয়ার/২ঃ ৩৯৭ পৃ)।
১০) নক্ষত্র ও তারকা রাজি মানুষের সুখ-দুঃখ ও জীবন-মরনের উপর হস্তক্ষেপ করে-( রাওদা মিনাল কাফি/৮ঃ ২১০৩ পৃ)।
১১) আলী রাঃ গায়েব জানেন-( মের’আতুল আনোয়ার/ ৫৯)। তিনি দুনিয়া ও আখেরাতের বিষয়ে হস্থক্ষেপ করেন-( ওসুল আল-কাফি/১ঃ৩০৮)। তিনি মৃত কে জেন্দা করেন-( ওসুল আল-কাফি/১ঃ৩৪৭)।
১২) যে বিশ্বাস করে যে, আল্লাহ জমীনে আসেন সে কাফের-( ওসুল আল-কাফি/১ঃ৯০ পৃ)।
১৩) কালেমা শাহাদাতের সাথে আরো বলতে হবে, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আলী রাঃ আল্লাহর অলী। তারা এমন কালেমা নব জাতকের কানে বলে এবং মৃত ব্যক্তির শয্যায় শিয়রে উচ্চারন করে-( ফুরুউল কাফি/৩ঃ৮২)।
১৪) যারা আবু বকর, ওমর, ওসমান,‌ মুয়া্বিয়া, আয়েশা ও হাফসা রাঃ কে প্রত্যেক নামাজের পর গালি দিবে তারা আল্লাহকে সব চেয়ে বড় উপহার প্রদান করিবে-( ফুরুউল কাফি/ ৩ঃ২২৪)।
১৫) শিয়া ইমামরা অন্যের জন্যে জান্নাতে প্রবেশ নিশ্চিত করতে পারে-( রিজালুল কাশি/৫ঃ৪৯০)।
১৬) মুতা বিয়ে না করলে তার ইমান পূর্ণতা লাভ করেনা। আর মুতা বিয়ে হোল অলি ও সাক্ষী ছাড়াই কোন মহিলাকে চুক্তির মাধ্যমে সাময়িক সময়ের জন্যে যৌন সঙ্গী করা। যে কোন মুমিনা নারীর সাথে মুতা করলো সে ৭০ বার কা’বা ঘর জেয়ারত করার সমান সাওয়াব পায় ( নাউজুবিল্লাহ)।-( মিসবাহুত তাহাজ্জুদ- আত তুরসি/২৫২ পৃ)।
১৭) ইমাম খোমেনী বলেছে, মুতা ছাড়া যত রকমের নষ্টামি আছে তাতে কোনই দোষ নাই যদিও তা শিশুর সাথে হোক না কেন ( নাউজুবিল্লাহ)! -( তাহরিরুল অসিলা/২ঃ২২১)।
১৮) আল্লাহ শিয়া ইমামদের নুর থেকে ফেরেস্তা সৃষ্টি করেছেন। ৪০০০ ফেরেস্তা এ কারনে হুসাইন রাঃ’র কবরে কেয়ামত পর্যন্ত কান্না রত আছেন-( জামিউল ফাওয়ায়েদ-কারাস্কি/৩৩৪ পৃ)।
১৯) ফেরেস্তাদের মধ্যে গোলযোগ হলে আল্লাহ আলী রাঃ কে ফেরেস্তা পাঠিয়ে আসমানে তুলে নিয়ে যান মিমাংশা করার জন্যে-(এখতেসাস/২১৩)।

২০) শিয়া শাইখ ‘বিন দ্বারা’ বলেছে, আল্লাহ আলীকেই মুহাম্মাদ করে পাঠিয়েছিলেন-(বেহারুল আনোয়ার/২৫ঃ ৩০৫)।
২১) শিয়া ইমাম গন অহি ছাড়া কিছু বলেন না-( বেহারুল আনোয়ার/ ১৭ঃ১৫৫)।
২২) খোমেনী বলেছেন, আমাদের ইমামদের মর্যাদার আসন এতই উচ্চে যে যেখানে আল্লাহর নিকটতম ফেরেস্তা এবং রাসুল পৌঁছাতে পারেন না-( হুকুমাহ ইসলামিয়া/৫২ পৃ)।
২৩) ‘খোমেনী’ পদবী ধারন কারী মুসা নবীর চেয়ে বেশী মর্যাদাবান-( দাওলা ইস্লামিয়া/১০৭ পৃ)।
২৪) কবরে প্রথম জিজ্ঞাসা করা হবে আহল- বাইতের ভালবাসা সম্পর্কে। মানে আলী রাঃ’র পরিবারের সঙ্গে মহাব্বত সম্পর্কে-( বেহারুল আনোয়ার/২৭ঃ ৭৯)।
২৫) জান্নাতের আটটি দরজার তিনটি ইরানের কম শহর বাসীর জন্যে খাস- বেহারুল আনোয়ার/৫৭ঃ২১৮)।
২৬) শিয়া শাইখ হুররুল আমেলি বলেছে, কেয়ামতে সকল সৃষ্টির হিসাব নেওয়া হবে শিয়া ইমাম গনের মাধ্যমে-( আল ফুসুলুল মুহিম্মা১ঃ৪৪৬)।
২৭) শিয়া শাইখ আল জাজায়েরী বলেন, রাসুল সঃ এর মরনের পর ৪ ব্যক্তি ছাড়া সকলেই মুরতাদ বা নাস্তিক হয়ে যায়। সেই ৪ জন হলেন, সালমান ফারেসি, আবুজর আল গিফারী, মেকদাদ ইবনুল আসওয়াদ ও আম্মার ইবনু ইয়াসের-( আল আনোয়ারুন নো’মানিয়া/১ঃ৮১)।
২৮) আবু বকর রাঃ জীবনের বেশীর ভাগ সময় মূর্তির খেদ্মাত করেছেন। তার ইমান ছিল ইয়াহুদ নাসারাদের ইমানের মত। সে রাসুলের পিছে নামাজ পড়তো মূর্তি কাঁধে ঝুলিয়ে-( সেরাতুল মুস্তাকীম/২৫ঃ ১৫৫)।
২৯) ওমার রাঃ হিজড়া ছিলেন (?)। তার নাকি এমন বদাভ্যাস ছিল যে, পুরুষের শুক্রাণু ছাড়া তিনি স্বাভাবিক থাকতেন না!!-( আনোয়ার নুমানিয়া/১ঃ৬৩)।
৩০) উমর রাঃ’র কুফরি নাকি ইবলিসের কুফুরীর চেয়েও কঠিন-( তাফসীর আইয়াশি/ ২ঃ২৪০, সুরা ইবরাহীম)। যে তাঁকে মুসলমান মনে করে তার উপর আল্লাহর লা’নত। ওমর রাঃ’র মৃত্যু দিবসকে তাদের উৎসবের দিন হিসাবে পালন করে-( জালাউল উয়ুন/ ৪৫ পৃ)। যারা আবু বকর ও ওমার রাঃ কে মুহাব্বাত করে তারা কাফের-( হাক্কুল ইয়াক্কীন/৫২২ পৃ)।
৩১) আয়েশা রাঃ, হাফসা রাঃ কাফের-( তাফসীর কাম্মি/৫৯৭)। আয়েশা রাঃ জেনা কারিনী ( নাউজুবিল্লাহ!)। ইমাম মাহদি এসে তাঁকে কবর থেকে তুলে বিচার করবেন-( এলালুশ শারায়ে’/২ঃ৫৬৫)।
৩২) শিয়া শাইখ আলী গারওয়াবী বলেছে, রাসুল সঃ এর পুলিংগ জাহান্নামের আগুনে জ্বলবে কেননা তিনি কাফের মহিলাদের সাথে সঙ্গম করেছেন ( নাউজুবিল্লাহ!)- কাশফুল আসরার- মুছাবী/২৪ পৃ)।
৩৩) শিয়া ইমাম ও অলীদের কবর জেয়ারত করা ফরজ, যে করেনা সে কাফের-( কামেল জিয়ারাত/ ১৮৩)।
৩৪) কোন ক্ষতির আশঙ্কায় সত্য গোপন করা, শিয়া ইমান ও আকীদা প্রকাশ না করার নাম “তাকিয়া” বা তুকিয়া। এই তাকিয়া যে করেনা তার কোন ইমান নাই-( শারহ আকায়েদ সাদুক/ ২৬১ পৃ, উসুলুল কাফী/২ঃ ৫৭৩)। যে তুকিয়া করেনা সে কাফের-( মাকাসেব মুহাররামাহ/২ঃ১৬৩)।
৩৫) হারামাইনে ইমামের পিছনে শিয়া নামাজ পড়ে তুকিয়া হিসাবে। তাতে তাদের ইমামের পিছনেই নামাজ পড়া হয়-( জামেউল আখবার/১১০ পৃ)।
৩৬) অনেক শিয়া মরার পরে পুনর্জীবন লাভ করে-( আওয়ায়েল মাকালাত/৪৬)।
৩৭) শিয়াদের কল্পিত ইমাম মাহদি তার পিতা হাসান আল আস্কারীর কোন দালানের তলায় লুকিয়ে আছে আত্ম প্রকাশের অপেক্ষায়-( আল মাকালাত অয়াল ফেরাক/১০২ পৃ)।
৩৮) তাদের মাহদি আত্ম প্রকাশ করার আগে শিয়ার উপর জুমা’র নামাজ ওয়াজেব নয়-( কাওয়ায়েদ আল আমেলি/ ২ঃ৬৯)।
৩৯) কেয়ামতে শিয়াদের গুনাহ সুন্নিদের উপর চাপানো হবে, আর সুন্নিদের সাওয়াব শিয়াদের কে দেওয়া হবে- ( এলালুশ শারায়ে’/২ঃ৪৭৮)।
৪০) সুন্নিরা জাহান্নামী। তারা নাপাক। তাদের জবাই খাওয়া হালাল নয়। তারা জেনার সন্তান। তারা বান্দর ও শুকুর। তাদেরকে হত্যা করা ওয়াজেব। তাদের মাল সম্পদ চুরি করা, ও তাদের সাথে এখাতেলাফ করা ওয়াজেব। আহ লুস সুন্নাহর লা’নত করা উত্তম এবাদাত!- বেহারুল আনোয়ার/ ৮ঃ ৩৬৮-৩৭০)।
৪১) সাবেক শিয়া শাইখ মুছাবী বলেন, কত মুতা কারী যে মেয়ে ও মাকে, দুই বোনকে, মহিলা ও তার ফুফুকে এবং খালাকে বিছানায় নিয়েছে তার কোন হিসাব দিতে পারবে না। এমন জঘন্য কাজ তাদের বড় বড় ইমাম ও শাইখেরাও করে- নাউজুবিল্লাহ!-( কাশফুল আসরার/ ৪৬ পৃ)।
৪২) শিয়ার জন্যে সুন্নিদের দেশে কাজ করা জায়েজ যদি সে ইনকিলাব ঘটানোর নিয়ত রাখে-( বেলায়াত আল-ফকীহ- খোমেনী/১৪২-১৪৩)।
৪৩) শিয়া শাইখ নে’মাতুল্লাহ আল জাজায়েরী বলেছে, সুন্নিদের রব আমাদের রব নয়, সুন্নিদের নবী আমাদের নবী নয়, সুন্নিদের ইমাম আমাদের ইমাম নয়-( আনোয়ার নো’মানদিয়া/ ২ঃ২৭৮)।
৪৪) আলী রাঃ’র কবর জেয়ারত করতে গেলে প্রতি কদমে একটি করে কবুল হজ্জ ও ওমরার সমান সাওয়াব হয়-( তাহজীবুল আহকাম/৬ঃ১৩০৬)।
** সজ্ঞানী সকল পাঠকের কাছে প্রশ্ন, উল্লেখিত শিয়া আকীদা গুলি কোন ও জাহেল, মূর্খ ও সাধারন মানুষের মগজে গ্রহণীয় হবে? মানুষ কি ইমান ও ইসলামের দাবী করে এমন বিশ্বাস ধারন করতে পারে? এবং এমন সব গর্হিত ও জঘন্য কাজ করতে পারে??
http://www.ahlalhdeeth.com/vb/showthread.php?t=176551
*এবার একটু দেখে নেওয়া যাক কি করলে ও কি জাতীয় ইমান ধারন করলে মুসল মান হওয়া যায়না, এবং দাবী করলেও সে ইসলাম থেকে বের হয়ে যায়ঃ
১) শিরক করলে। কাজে কথায় ও বিশ্বাসে আল্লাহর সাথে তাঁর সৃষ্টিকে কোন কিছুর বা কোনকিছুতে অংশীদার মনে করা, বলা, এবং সে জাতীয় কোন আমল করা।
২) আল্লাহ ও বান্দার মাঝখানে কোন মাধ্যম সাব্যাস্ত করা।
৩) কাফের মুশরিকদেরকে কাফের মুশরিক মনে না করা। অথবা তাদের ধর্ম কে সঠিক মনে করা।
৪) রাসুলের সুন্নাহ বা তরীকা ব্যতিত অন্য কোন তরীকা অথবা দর্শনে বিশ্বাস করা।
৫) রাসুলের কোন প্রতিষ্ঠিত সুন্নাহ বা তরীকার প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করা।
৬) রাসুলের আনীত দ্বীনের কোন ও বিষয়ের প্রতি বিদ্রুপ করা।
৭) জাদু টোনা তেলেস্মাত ইত্যাদিতে আস্থা প্রকাশ করা।
৮) কাফের মুশরিকদেরকে মুসলমানদের নিধনে ব্যবহার করা।
৯) কেউ কেউ নবীর শরিয়ত মানা থেকে মুক্ত হতে পারে এমন বিশ্বাস স্থাপন করা।
১০) আল্লাহর শুদ্ধ দ্বীন থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেওয়া। উক্ত দ্বীনের মুল তালিম ও শিক্ষা না নেওয়া।
উল্লেখ্য যে, উলামা কেরাম উক্ত ১০ টি কারনের পক্ষে কোরআন-হাদিস থেকে দলীল সহ ব্যখা দিয়েছেন। কিন্তু সংক্ষেপ করার উদ্দেশ্যে তা উল্লেখ করা হয়নাই। উক্ত ১০ টি কারনের সব কয়টিই শিয়াদের ইমান ও আমলে পাওয়া যাবে তাতে সন্দেহ নাই।
http://www.alukah.net/sharia/0/7874/

No comments:

Post a Comment

Download AsPDF

Print Friendly and PDFPrint Friendly and PDFPrint Friendly and PDF
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...