প্রশ্ন: জুমার দিন জুমার সালাত আদায়ের আগে ওয়াজ-নসীহত করার বিধান কি?
উত্তর: জুমার দিন জুমার নামাজের আগে ওয়াজ-নসীহত বা দরস প্রদান করা উচিৎ নয়। কারণ প্রখ্যাত সাহাবী আমর ইবনে শুয়াইব তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন,
نَهَى عنِ التَّحلُّقِ يومَ الجمعةِ قبلَ الصَّلاةِ
রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জুমার সালাতের আগে (ওয়াজ-নসীহতের) বৈঠক করতে নিষেধ করেছেন।”
(তিরমিযী, অধ্যায়: সালাত হা/৩৩২,নাসাঈ,অধ্যায়: মসজিদ হা/৭১৪, আবুদাউদ,অধ্যায়: সালাত হা/১০৭৯, হাদীসটি হাসান, সুয়ূতী ও আলবানী রহ)
কারণ,এটি জুমার সালাতের জন্য উপস্থিত মুসল্লীদেরকে যিকির, কুরআন তিলাওয়াত, নফল সালাত, কাতার বদ্ধ হয়ে বসা এবং যে খুতবা শুনার জন্য মহান আল্লাহ তার রাসূলের মাধ্যমে আমাদেরকে আদেশ করেছেন সেই খুতবা শোনার জন্য মানসিক প্রস্তুতি গ্রহণে অমনোযোগী করে তোলে।
খুতবার আগে যদি নিয়মিতভাবে এবং অধিক পরিমানে ওয়াজ-নসীহত করা হয় তবে মানুষের অন্তরে জুমার খুতবার মর্যাদা এবং প্রভাব কমে যায়। সুতরাং এটা করা হলে আল্লাহ তায়ালা যে উদ্দেশ্যে এই খুতবার ব্যবস্থা করেছেন সে উদ্দেশ্য পরিপন্থী কাজ হবে।
তাছাড়া জুমার সালাতের জন্য নির্বাচিত ব্যক্তি (ইমাম বা খতীব সাহেব)যদি খুতবার মধ্যে মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় ওয়াজ-নসীহত পেশ করার প্রতি যত্নবান হন তবে খুতবার আগে অন্য কোন ওয়াজ-নসীহতের প্রয়োজন থাকে না।
তাছাড়া নবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং তারা খলাফায়ে রাশেদাগণ এমনটি করতেন না। অথচ প্রকৃত কল্যাণ নিহীত রয়েছে রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং তার খোলাফায়ে রাশেদার আদর্শের অনুসরণেই মধ্যেই।
অবশ্য যদি বিশেষ কোন প্রয়োজন দেখা যায় অথবা তা যদি জুমার সালাত বা খুতবা সংশ্লিষ্ট হয় তবে এতে কোন অসুবিধা নাই।তবে সতর্ক থাকতে হবে যে, এটা যেন প্রতিনিয়ত এবং নিয়মিত না করা হয়।তাহলে এ ক্ষেত্রে ইনশাআল্লাহ কোন সমস্যা নাই।আল্লাহই তাওফীক দানকারী।
(তিরমিযী, অধ্যায়: সালাত হা/৩৩২,নাসাঈ,অধ্যায়: মসজিদ হা/৭১৪, আবুদাউদ,অধ্যায়: সালাত হা/১০৭৯, হাদীসটি হাসান, সুয়ূতী ও আলবানী রহ)
কারণ,এটি জুমার সালাতের জন্য উপস্থিত মুসল্লীদেরকে যিকির, কুরআন তিলাওয়াত, নফল সালাত, কাতার বদ্ধ হয়ে বসা এবং যে খুতবা শুনার জন্য মহান আল্লাহ তার রাসূলের মাধ্যমে আমাদেরকে আদেশ করেছেন সেই খুতবা শোনার জন্য মানসিক প্রস্তুতি গ্রহণে অমনোযোগী করে তোলে।
খুতবার আগে যদি নিয়মিতভাবে এবং অধিক পরিমানে ওয়াজ-নসীহত করা হয় তবে মানুষের অন্তরে জুমার খুতবার মর্যাদা এবং প্রভাব কমে যায়। সুতরাং এটা করা হলে আল্লাহ তায়ালা যে উদ্দেশ্যে এই খুতবার ব্যবস্থা করেছেন সে উদ্দেশ্য পরিপন্থী কাজ হবে।
তাছাড়া জুমার সালাতের জন্য নির্বাচিত ব্যক্তি (ইমাম বা খতীব সাহেব)যদি খুতবার মধ্যে মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় ওয়াজ-নসীহত পেশ করার প্রতি যত্নবান হন তবে খুতবার আগে অন্য কোন ওয়াজ-নসীহতের প্রয়োজন থাকে না।
তাছাড়া নবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং তারা খলাফায়ে রাশেদাগণ এমনটি করতেন না। অথচ প্রকৃত কল্যাণ নিহীত রয়েছে রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং তার খোলাফায়ে রাশেদার আদর্শের অনুসরণেই মধ্যেই।
অবশ্য যদি বিশেষ কোন প্রয়োজন দেখা যায় অথবা তা যদি জুমার সালাত বা খুতবা সংশ্লিষ্ট হয় তবে এতে কোন অসুবিধা নাই।তবে সতর্ক থাকতে হবে যে, এটা যেন প্রতিনিয়ত এবং নিয়মিত না করা হয়।তাহলে এ ক্ষেত্রে ইনশাআল্লাহ কোন সমস্যা নাই।আল্লাহই তাওফীক দানকারী।
وصلى الله على نبينا محمد وآله وصحبه وسلم
ফতোয়া প্রদানকারী:
প্রধান: আবদুল্লাহ বিন আবদুল্লাহ বিন বায
উপ-প্রধান: আবুর রাযযাক আফীফী
সদস্য: আবদুল্লাহ বিন হাসান বিন কুঊদ।
——————–
অনুবাদক:
প্রধান: আবদুল্লাহ বিন আবদুল্লাহ বিন বায
উপ-প্রধান: আবুর রাযযাক আফীফী
সদস্য: আবদুল্লাহ বিন হাসান বিন কুঊদ।
——————–
অনুবাদক:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সউদী আরব।
——————-
উৎস: ফতোয়া এবং গবেষণা বিষয়ক স্থায়ী কমিটি, সউদী আরব
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সউদী আরব।
——————-
উৎস: ফতোয়া এবং গবেষণা বিষয়ক স্থায়ী কমিটি, সউদী আরব
No comments:
Post a Comment