Wednesday 12 November 2014

সামর্থ্যবানদের দ্রুত বিয়ে করা উচিৎ, নয়তো রোযা রাখার বিধানঃ


আলকামা (রহঃ) থেকে বর্নিত। তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহ (ইবন মাসঊদ) (রাঃ) এর সঙ্গে মিনায় পৌছলাম। এ সময় উসমান (ইবন আফফান) (রাঃ) এসে তাঁর সাথে মিলিত হলেন। তখন তিনি তাঁর সঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বলতে লাগলেন। উসমান (রাঃ) তাঁকে বললেন, হে আবু আব্দুর রহমান! আমরা কি আপনার সঙ্গে এমন একটি যুবতী মেয়ের বিয়ে দেব না যে হয়ত আপনার অতীতের কিছু স্বৃতি স্বরণ করিয়ে দেবে?
হাদীসের রাবী আলকামা (রহঃ) বলেন, আবদুল্লাহ (ইবন মাসঊদ) (রাঃ) তখন বললেন, আপনি যদি একথা বলেন তবে রাসুলুল্লাহ (সা) আমাদের বলেছেনঃ ”হে যুব সমাজ! তোমাদের মধ্যে যে দাম্পত্য জীবনের ব্যয়ভার বহন করতে সক্ষম সে যেন বিবাহ করে। কারন তা (বিবাহ) দৃষ্টি নিচু করে এবং লজ্জাস্হানকে সুরক্ষিত করে। আর যে সক্ষম নয় তার সিয়াম পালন করা উচিৎ। কারণ তা তার জন্য যৌন কামনা দমনকারী।


নিকাহ (বিয়ে-শাদী) অধ্যায়ঃ সহিহ মুসলিমঃ ৩২৩১
=> খাসী হওয়া অর্থাৎ পুরুষত্বহীন হওয়া নিষিদ্ধ, জিনা-ব্যভিচার থেকে বাঁচার জন্য বিয়ে করে নেওয়া এবং এর জন্য মোহরানার পরিমান অতি সামান্য করাঃ
সাহল ইবন সাঁদ সাঈদী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈকা মহিলা রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর কাছে এসে বললঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি নিজকে আপনার জন্য হিবা করছি। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তার দিকে লক্ষ্য করলেন এবং দৃষ্টি উপরের দিকে উঠিয়ে নিচে নামালেন। তারপর তিনি তাঁর শির মুবারক নত করলেন। মাহিলা যখন বুঝতে পারল যে, তার সমন্ধে কোন সিদ্ধাতে পৌছেন নি, তখন সে বসে পড়ল। তারপর জনৈক সাহাবী দাঁড়িয়ে আরয কল, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ)! যদি আপনার প্রয়োজন না হয় তাহলে তাকে আমার সাথে বিবাহ দিয়ে দিন। তিনি বললেন, তোমার কাছে কি কিছু আছে? সাহাবী বললেন, না, আল্লাহর কসম ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ)! তিনি বললেন, তুমি বাড়ী যাও দেখ, কোন কিছু পাও কিনা। সাহাবী বাড়ী গিয়ে আবার ফিরে এসে বলল, আল্লাহর কসম, আমি বাড়ীতে কোন কিছুই পাই নি। রাসুলুল্লাহ (সা) বললেনঃ দেখ, লোহার আংটি হলেও (পাও কিনা)। সাহাবী আবার গেল এবং ফিরে এসে বলল, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সা)! আল্লাহর কসম, আমি লোহার একটি আংটিও পাই নি। তবে আমার এ লূংগীটি আছে। (বর্ণনাকারী) সাহল (রাঃ) বলেন, তার চাদরও ছিল না এর অর্ধেক তার জন্য। রাসুলুল্লাহ (সা) বললেনঃ তুমি তোমার লুঙ্গি দ্বারা কি করবে? তা যদি তুমি পর তাহলে স্ত্রীর জন্য সেটির কোন অংশ অবশিষ্ট থাকবে না। আর যদি সে তা পরিধান করে তাহলে (তোমার জন্য) সেটির কোন অংশ অবশিষ্ট থাকবে না। এরপর সে ব্যক্তি বসে রইল। অনেক ক্ষণ বসার পর উঠে গেলা। রাসুলুল্লাহ (সা) তাকে ফিরে যেতে দেখে ডেকে পাঠালেন। যখন সে এল রাসুলুল্লাহ (সা) বললেনঃ কুরআনের কোন অংশ তোমার জানা আছে? উত্তরে সে বললঃ অমুক সূরা, অমুক সূরা আমার জানা আছে। এভাবে সে সূরাগুলোর সংখ্যা বলে দিল। রাসুলুল্লাহ (সা) বললেনঃ তুমি কি এগুলো মুখস্ত পাঠ করতে পার? সাহাবী বলল, হ্যা। তিনি বললেন, যাও তোমাকে এসব সূরার কারণে এই মহিলাকে তোমার অধিকারে দিয়ে দিলাম। এ হল ইবন আবু হাযিমের বর্ণনা। আর ইয়াকুবের বর্ণনা শব্দের দিকে দিয়ে এর কাছাকাছি ।
নিকাহ (বিয়ে-শাদী) অধ্যায়ঃ সহিহ মুসলিমঃ ৩৩১৬।
=> বেপর্দা, ফেতনাবাজ, অর্ধ-উলংগ নারীকে দেখলে স্ত্রীর কাছে আসা এবং খাহেশাত পূরন করে নেওয়াঃ
১. জাবির (রাঃ) বলেন, আমি নবী (সা) -কে বলতে শুনেছিঃ যখন তোমাদের কাউকে কোন স্ত্রীলোক মুগ্ধ করে এবং তা তার মনকে প্রলূব্ধ করে তখন সে যেন তার স্ত্রীর নিকট আসে এবং তার সাথে সংগম করে। এতে তার মনে যা আছে তা দূর করে
নিকাহ (বিয়ে-শাদী) অধ্যায়ঃ সহিহ মুসলিমঃ ৩২৪২।
২. জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এক মহিলাকে দেখলেন। তখন তিনি তার স্ত্রী যায়নাব (রাঃ) এর নিকট আসলেন। তিনি তখন তার একটি চাড়মা পাকা করায় ব্যস্ত ছিলেন এবং রাসুলুল্লাহ (সাঃ) নিজের প্রয়োজন পূরণ করলেন । তারপর বের হয়ে সাহাবীদের নিকট এসে তিনি বললেনঃ স্ত্রীলোক সামনে আসে শয়তানের বেশে এবং ফিরে যায় শয়তানের বেশে । অতএব তোমাদের কেউ কোন স্ত্রীলোক দেখতে পেলে সে যেন তার স্ত্রীর নিকট আসে (খাহেশাত পূরণ করে নেয়)।. কারণ তা তার মনের ভেতর যা রয়েছে তা দূর করে দেবে।
নিকাহ (বিয়ে-শাদী) অধ্যায়ঃ সহিহ মুসলিমঃ ৩২৪০।

No comments:

Post a Comment

Download AsPDF

Print Friendly and PDFPrint Friendly and PDFPrint Friendly and PDF
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...