“জীবন থেকে নেওয়া” এই শিরোনামে আমার লেখা আটটি পর্ব, আজ সবগুলো পর্ব একসাথে প্রকাশ করা হলো। এর বিষয়বস্তু আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, অনুধাবন, জীবনবোধ কিংবা ক্বুরআন, সুন্নাহ ও আমাদের সম্মানিত আলেমদের শিক্ষা থেকে সংগৃহীত। আশা করি, মুসলিম ভাই ও বোনদের উপকারে আসবে।
জীবন থেকে নেওয়া (পর্ব-১)
(১) আল্লাহ সম্পর্কে, তার দ্বীন সম্পর্কে, পরকালের জীবন সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান একজন মানুষের অন্তরে যেই সুখ এনে দিতে পারে, সারা দুনিয়া দিয়েও সেটা ক্রয় করা যায় না। সুবহা'নাল্লাহ!
(২) দুনিয়া হচ্ছে বিগত যৌবনা সেই নারীর মতো, যে আকর্ষণীয় সাজ-সজ্জা দ্বারা পুরুষদেরকে নিজের দিকে আকৃষ্ট করে। দূর থেকে শুধুমাত্র রূপ দেখেই বোকা পুরুষেরা তার দিকে অগ্রসর হয়, কিন্তু কাছে গিয়ে প্রতারিত হয়েছে বলে উপলব্ধি করতে পারে। অনুরূপভাবে, নিজের আত্মাকে বিসর্জন দিয়ে যারা দুনিয়ার মোহে জীবনটা অতিবাহিত করে, সেই দুনিয়া হাতে আসার পর তারা বুঝতে পারে, দুনিয়া কাউকে তৃপ্ত করতে পারেনা।
(৩) একজন আলেম বলেছেনঃ যেই জ্ঞান তুমি এখনো অর্জন করতে পারোনি, তার জন্যে আফসোস করোনা বরং, অর্জিত যেই জ্ঞান আমল করতে পারছোনা, তার জন্য অনুশোচনা করো।
(৪) কাফেরদের ধন-সম্পদ, সন্তান-সন্ততি কেয়ামতের দিন তাদের কোন উপকারে আসবেনা, তবে মুমিনদের দুনিয়াতে রেখে যাওয়া ধন-সম্পদ ও নেক সন্তান কেয়ামতের দিন তাদের উপকারে আসবে। সুরা শুয়া'রা।
(৫) মুমিনদের শ্রেষ্ঠ কয়েকটি গুণ হচ্ছে স্থির বুদ্ধি, ধৈর্য, উত্তম চরিত্র, নম্রতা ও মিষ্টি ভাষা।
(৬) তাক্বদীরে যা লিখা ছিলো, তাই হয়েছে এবং তাই হবে। সুতরাং অতীতে যা ঘটে গেছে তার জন্যে আফসোস করোনা, আর ভবিষ্যতে কি ঘটবে তার জন্যে ভয় করোনা। বরং, বর্তমানে সঠিক ও নেক আমল করার জন্যে মনোযোগী হও।
(৭) দুঃখ-কষ্ট ও মুসিবতের সময় মানুষ নিজের ভুল-ত্রুটি স্বরণ করে, আল্লাহর কাছে অনুতপ্ত হয় এবং এর দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য লাভ হয়। এইভাবে ঈমানদারদের জীবনে দুঃখ-কষ্টগুলোও তার জন্যে কল্যাণে পরিণত হয়। আলহামদুলিল্লাহ, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আমরা আল্লাহকে ভালোবাসি, আল্লাহ আমাদেরকে ভালোবাসেন (ইন শা আল্লাহ)।