প্রশ্ন : আমাকে একজন “সুরা ইয়াসিন” লেখা একটা ওয়ালম্যাট গিফট দিসে। আমি কি ওই ওয়ালম্যাট টা আমার ঘরে টাঙ্গিয়ে রাখতে পারবো? কুরআন ও সহিহ হাদীসের আলোকে জানাবেন কি প্লিজ।
উত্তর : সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার জন্য ।
কুরআনের কোন আয়াত বা সূরা লিখে ঘরের বা মসজিদের দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখা বৈধ নয়। ঘরের বা মসজিদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি অথবা অন্য যে কোন উদ্দেশ্যেই হোক। কারণ রাসূল (সাঃ), সাহাবী কিংবা তাবেয়ীদের যুগে মসজিদের দেয়ালে বা ঘরের দেয়ালে কুরআনের আয়াত ঝুলিয়ে রাখা হতনা। ঘরের আসবাব-পত্রের সাথে কিংবা দেয়ালে কুরআনের আয়াত লিখে ঝুলিয়ে রাখলে অন্যান্য জিনিষের মতই কুরআনের আয়াতের প্রতি অসম্মান প্রদর্শেনের সম্ভাবনা রয়েছে। শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল উছাইমীন এই কাজকে বিদআত বলেছেন।
বরকতের আশায় ঝুলিয়ে রাখার যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা সহীহ হাদীছে কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে বরকত হাসিলের কথা এসেছে। রাসূল (সাঃ) বলেনঃ যে ঘরে সূরা বাকারা পাঠ করা হয়, সে ঘর থেকে শয়তান পালিয়ে যায়। (সহীহ মুসলিম, হাদীছ নং-২১২)
কুরআন নাযিলের উদ্দেশ্য হচ্ছে তা তিলাওয়াত করা হবে, তা নিয়ে গবেষণা করা হবে এবং তার বিধানগুলোর অনুসরণ করা হবে। ঝুলিয়ে রেখে ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য নয়।
তবে যে স্থানে কুরআনের আয়াতের প্রতি অমর্যাদা প্রদর্শনের সম্ভাবনা নেই, সেখানে স্মরণ রাখার জন্য, শিক্ষার জন্য এবং উপদেশ গ্রহণের জন্য কুরআনের আয়াত বা হাদীছ লিখে রাখলে সে ব্যাপারে আলেমদের দু’টি মত পাওয়া যায়। কেউ কেউ এটিকেও অপছন্দ করেছেন। কিন্তু লাজনায়ে দায়েমা (সৌদি আরবের ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটি) এটিকে জায়েয বলেছেন।
প্রশ্নকারী যেহেতু সূরা ইয়াসীন এর কথা উল্লেখ করেছেন, তাই এখানে আরেকটি কথা বলে রাখা দরকার। তা হচ্ছে, সূরা ইয়াসীনের ফজীলতে যত হাদীছ বর্ণিত হয়েছে, তার কোনটিই সহীহ নয়।
আল্লাহই ভাল জানেন।
আল্লামা মুহাম্মদ বিন সালিহ আল উসাইমীন (রাহ:) এর ফতোয়া: