26 Temmuz 2014 Cumartesi

আদম সন্তানদের মাঝে কি ভাই-বোনে বিবাহ হত?


প্রশ্ন
আমার চাচীর পক্ষ থেকে প্রশ্নটি উত্থাপন করছি কেননা বিষয়টি তাকে খুবই উৎকণ্ঠিত করে তুলেছে আর তা হল মানবপ্রজন্মের শুরু প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআনে আল্লাহর নবী আদম আলাইহিস সালামের কথা স্পষ্টাকারে এসেছে জান্নাত থেকে পৃথিবীতে নেমে আসার কথাও স্পষ্ট বর্ণনায় রয়েছে তবে আদম হাওয়া -দুজনই যে কেবল মানবপ্রজন্মের একমাত্র মাতা-পিতা ছিলেন তার কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা নেই অর্থাৎ তারা দুজনই যদি কেবল, সে সময়ে, পৃথিবী বক্ষে একমাত্র মানব হয়ে থাকেন- যাদের ছেলে সন্তান ছিল- তা হলে মানবপ্রজন্ম তাদের পরে বংশবিস্তার করল কিভাবে? তবে কি বলব যে সে সময়ে ভাই-বোনে বিবাহ-শাদি বৈধ ছিল? এবং ধরনের বিবাহ থেকেই সন্তান-সন্ততি জন্ম নিয়েছে

উত্তর: আলহামদুলিল্লাহ
আল্লাহ তাআলা আল কুরআনে উল্লেখ করেছেন যে সকল মানুষ আদম তাঁর স্ত্রীর বংশবিস্তারের ফসল ইরশাদ হয়েছে: (হে মানুষ তোমরা তোমাদের রবকে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এক নফস থেকে আর তা থেকে সৃষ্টি করেছেন তার স্ত্রীকে এবং তাদের থেকে ছড়িয়ে দিয়েছেন বহু  পুরুষ নারী) [সূরা আননিসা:]
আরো ইরশাদ হয়েছে: ( তিনিই সে সত্তা যিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এক ব্যক্তি থেকে এবং তার থেকে বানিয়েছেন তার সঙ্গিনীকে, যাতে সে তার নিকট প্রশান্তি লাভ করে অতঃপর যখন সে তার সঙ্গিনীর সাথে মিলিত হল, তখন সে হালকা গর্ভ ধারণ করল এবং তা নিয়ে চলাফেরা করতে থাকল--) [ সূরা আল আরাফ:১৮৯]
আদম মানবপ্রজন্মের পিতা হওয়ার ব্যাপারে এটি একটি স্পষ্ট প্রমাণ আদম থেকেই মানবজাতির বংশ বিস্তৃত হয়েছে পৃথিবীতে যত মানুষ রয়েছে আদম তার স্ত্রীই তাদের মূল
হাদিসে এসেছে, আদম হাওয়ার গর্ভে প্রতিবার একটি ছেলে  একটি মেয়ে সন্তান জন্ম নিত তারা যখন বড় হত, ছেলেকে তার পূর্বে জন্ম-নেয়া মেয়ের সাথে বিয়ে দেয়া হত এবং মেয়েকে তার পূর্বে জন্ম-নেয়া ছেলের সাথে এটা তখন বৈধ ছিল, যদিও তারা একই মায়ের সন্তান ছিল এটা প্রয়োজনের কারণে বৈধ ছিল তারা যখন সংখ্যায় বেড়ে গেল তখন ভাই-বোনের বিবাহ নিষিদ্ধ বলে ঘোষিত হল

আল্লাহর উত্তম জ্ঞানী

Hiç yorum yok:

Yorum Gönder

Download AsPDF

Print Friendly and PDFPrint Friendly and PDFPrint Friendly and PDF
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...