28 Temmuz 2014 Pazartesi

ঈদের নামাযের বিধান কি?



উত্তরঃ আমিমনে করি ঈদের নামায ফরযে আঈন তথা প্রত্যেক ব্যক্তির উপর ফরয। কোন পুরুষেরজন্য এ নামায পরিত্যাগ করা জায়েয নয়। কেননা নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)এর নির্দেশ প্রদান করেছেন। বরং কুমারী পর্দানশীন নারীদেরকেও এনামাযে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন; এমনকি ঋতুবতী নারীদেরকেও অনুরূপনির্দেশ প্রদান করেছেন। তবে ঋতুবতী ছালাত আদায় করবেনা। এ দ্বারা এ নামাযেরঅতিরিক্ত গুরুত্ব বুঝা যায়। এটাই প্রাধান্যযোগ্য মত এবং শায়খুল ইসলাম ইমামইবনু তাইমিয়াও (রহঃ) অনুরূপ মত পোষণ করেছেন।

এনামাযটি জুমআর নামাযের মত। কিন্তু ছুটে গেল কাযা আদায় করা যাবে না। কেননাকাযা আদায় করার পক্ষে কোন দলীল নেই। এর পরিবর্তে অন্য কোন নামাযও আদায় করবেনা। অবশ্য জুমআর নামায ছুটে গেলে তার পরিবর্তে যোহরের ছালাত আদায় করবে।কেননা সময়টি যোহরের নামাযের সময়। কিন্তু ঈদের নামায ছুটে গেলে তার কোন কাযানেই।

মুসলিমভাইদের প্রতি আমার নসীহত হচ্ছে, তারা যেন আল্লাহ্‌ তা’আলাকে ভয় করে এবং এইনামাযটিকে প্রতিষ্ঠিত করে। যাতে রয়েছে প্রভূত কল্যাণ ও আল্লাহ্‌র কাছেদু’আ, লোকদের পরস্পর দেখা-সাক্ষ্যাৎ ও প্রীতি-ভালবাসার বিনিময়। দেখবেনমানুষকে যদি কোন খেলাধুলার আসরে আহবান জানানো হয়, তবে কত দ্রুত তারা সেখানেসমবেত হয়। তাদের জন্য কি উচিত নয় মুক্তি দূত বিশ্বনবীর আহবানে সাড়া দিয়েএই নামাযের জন্য সুবিশাল সমাবেশের আয়োজন করা? যাতে রয়েছে আল্লাহ্‌র অফুরন্তছওয়াব এবং মাগফিরাত। কিন্তু নারীদের উপর ওয়াজিব হচ্ছে, এ নামাযে আসতেচাইলে তারা যেন পুরুষদের সাথে সংমিশ্রিত না হয়। তারা থাকবে মসজিদ বাঈদগাহের একপ্রানে- পুরুষদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা স্থানে। নারীরা যেনআতর-সুগন্ধি মেখে নিজের সৌন্দর্যের প্রকাশ ঘটিয়ে বেপর্দা হয়ে বের না হয়। এইকারণে নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন নারীদেরকে ঈদের নামাযেরজন্য বের হতে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তারা প্রশ্ন করেছেন:إِحْدَانَا لَيْسَ لَهَا جِلْبَابٌহে আল্লাহ্‌র রাসূল আমাদের তো কারো কারো চাদর নেই? তিনি বললেন, لِتُلْبِسْهَا أخْتُهَا مِنْ جِلْبَابِهَا “তার অন্য বোন যেন নিজের চাদর তাকে পরতে দেয়।”আর পর্দার উপযুক্ত চাদরহচ্ছে বর্তমানের বোরকা। এদ্বারা প্রমাণ পাওয়া যায় যে, নারী অবশ্যই পূর্ণপর্দা করে গৃহ থেকে বের হবে। কেননা নারীর চাদর না থাকলে সে কি করবে নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে এপ্রশ্ন করলে তিনি এরূপ বলেন নি যে, সাধ্যানুযায়ী পর্দা করে বের হবে। বরং বলেছেন, “অন্য বোন বা নারী তার চাদরতাকে পরিয়ে দিবে।”আর ঈদের নামাযের ইমামের উচিত হচ্ছে, ঈদের খুতবার সময়পুরুষদেরকে নসীহত করার সময় বিশেষভাবে নারীদেরকেও নসীহত করবেন। তাদের সাথেবিশেষিত বিধি-বিধান সমূহ বর্ণনা করবেন। যেমনটি নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম) করেছিলেন। তিনি পুরুষদের নসীহত করার পর নারীদের দিকেআলাদাভাবে গিয়ে তাদেরকে ওয়াজ-নসীহত করেছেন।
সূত্র: ফতওয়া আরকানুল ইসলাম। রচনায়: আল্লামা শায়খ মুহাম্মদ বিন সালেহ আল উসাইমীন (রাহ.)

Hiç yorum yok:

Yorum Gönder

Download AsPDF

Print Friendly and PDFPrint Friendly and PDFPrint Friendly and PDF
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...