
৬. প্রশ্নঃ তাওহীদুল ইলাহ্ কি? বা কাকে বলে?
উত্তরঃ ইবাদাত যথা দু’আ, নযর ও শাসনের ক্ষেত্রে আল্লাহর একত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করা।
কোরআন হতে দলীলঃ
{فَاعْلَمْ أَنَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ} (سورة محمد: 19)
‘‘জেনে রাখুন, আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই।’’।(সূরা মুহাম্মাদঃ ১৯)
হাদীস হতে দলীলঃ
«ادْعُهُمْ إِلَى شَهَادَةِ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ» (متفق عليه)
‘সর্ব প্রথম যে বিষয়ের দা’ওয়াত দিবে সেটা হলো, আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন উপাস্য নেই এ সাক্ষ্য প্রদানের দিকে।’ (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)

৭. প্রশ্নঃ ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ এর অর্থ কি?
উত্তরঃ আল্লাহ ব্যতীত সত্যিকার কোন মা’বুদ বা উপাস্য নাই।
কোরআন হতে দলীলঃ
উত্তরঃ আল্লাহ ব্যতীত সত্যিকার কোন মা’বুদ বা উপাস্য নাই।
কোরআন হতে দলীলঃ
{ذَلِكَ بِأَنَّ اللَّهَ هُوَ الْحَقُّ وَأَنَّ مَا يَدْعُونَ مِنْ دُونِهِ الْبَاطِلُ وَأَنَّ اللَّهَ هُوَ الْعَلِيُّ الْكَبِيرُ} (سورة لقمان: 30)
‘‘এটাই প্রমাণ যে, আল্লাহ-ই সত্য এবং আল্লাহ ব্যতীত তারা যাদের পূজা করে সব মিথ্যা। আল্লাহ সর্বোচ্চ, মহান।’’।(সূরা লোকমানঃ ৩০)
হাদীস হতে দলীলঃ
«مَنْ قَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَكَفَرَ بِمَا يُعْبَدُ مِنْ دُونِ اللَّهِ حَرُمَ مَالُهُ وَدَمُهُ» (رواه مسلم)
‘যে ব্যক্তি লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলল এবং আল্লাহ ব্যতীত যার ইবাদাত করা হয় তাকে অস্বীকার করল, তার রক্ত ও সম্পদ হারাম।’ (সহীহ মুসলিম)

৮. প্রশ্নঃ আল্লাহর গুণাবলীর তাওহীদ কাকে বলে?
উত্তরঃ যে সমস্ত গুণাবলী আল্লাহ নিজে কিংবা তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর জন্য সাব্যস্ত করেছেন উহা ঐভাবে সাব্যস্ত করা।
কোরআন হতে দলীলঃ
উত্তরঃ যে সমস্ত গুণাবলী আল্লাহ নিজে কিংবা তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর জন্য সাব্যস্ত করেছেন উহা ঐভাবে সাব্যস্ত করা।
কোরআন হতে দলীলঃ
{فِيهِ لَيْسَ كَمِثْلِهِ شَيْءٌ وَهُوَ السَّمِيعُ الْبَصِيرُ} (سورة الشورى:11)
‘‘কোন কিছুই তাঁর অনুরূপ নয়। তিনি সব শুনেন, সব দেখেন।’’।(সূরা শুরাঃ ১১)
হাদীস হতে দলীলঃ
«يَنْزِلُ رَبُّنَا تَبَارَكَ وَتَعَالَى كُلَّ لَيْلَةٍ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا» (متفق عليه)
‘আমাদের প্রতিপালক মহান আল্লাহ তা’য়ালা প্রতি রাত্রে দুনিয়াস্থ আসমানে অবতরণ করেন। (এমনই তাঁর সেই অবতরণ যেমন তার মহান শানের জন্য প্রযোজ্য)।’ (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)

৯. প্রশ্নঃ মুসলিম ব্যক্তির জন্য তাওহীদ কোন উপকার বয়ে আনে কি?
উত্তরঃ হাঁ, দুনিয়ার হিদায়াত ও আখিরাতে নিরাপত্তা বয়ে আনে।
কোরআন হতে দলীলঃ
উত্তরঃ হাঁ, দুনিয়ার হিদায়াত ও আখিরাতে নিরাপত্তা বয়ে আনে।
কোরআন হতে দলীলঃ
{الَّذِينَ آَمَنُوا وَلَمْ يَلْبِسُوا إِيمَانَهُمْ بِظُلْمٍ أُولَئِكَ لَهُمُ الْأَمْنُ وَهُمْ مُهْتَدُونَ} (سورة الأنعام: 82)
‘‘যারা ঈমান আনে এবং স্বীয় বিশ্বাসকে শেরেকীর সাথে মিশ্রিত করে না, তাদের জন্যেই শান্তি এবং তারাই সুপথগামী।’’।(সূরা আনআমঃ ৮২)
হাদীস হতে দলীলঃ
«وَحَقُّ الْعِبَادِ عَلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ لاَ يُعَذِّبَ مَنْ لاَ يُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا» (رواه مسلم)
‘আল্লাহর উপর বান্দার হক এই যে, তিঁনি যেন ঐ বান্দাদের শাস্তি না দেন যারা তাঁর সঙ্গে কোন বস্তুকে শরীক সাব্যস্ত করেনি।’ (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)

১০. প্রশ্নঃ আল্লাহ কোথায় আছেন?
উত্তরঃ আল্লাহ আসমানে আরশের উপর আছেন।
কোরআন হতে দলীলঃ
উত্তরঃ আল্লাহ আসমানে আরশের উপর আছেন।
কোরআন হতে দলীলঃ
{الرَّحْمَنُ عَلَى الْعَرْشِ اسْتَوَى} (سورة طه: 5)
‘‘রহমান আরশের উপর সমুন্নত।’’।(সূরা ত্বহাঃ ৫)
হাদীস হতে দলীলঃ
«لَمَّا خَلَقَ اللَّهُ الْخَلْقَ كَتَبَ فِى كِتَابِهِ -هُوَ يَكْتُبُ عَلَى نَفْسِهِ، وَهْوَ وَضْعٌ عِنْدَهُ عَلَى الْعَرْشِ – إِنَّ رَحْمَتِى تَغْلِبُ غَضَبِى» (رواه البخاري)
‘আল্লাহ তা’য়ালা যখন সৃষ্টিকুল সৃষ্টি করেন লওহে মাহফুজে লিপিবদ্ধ করে রাখেন যেটি আরশের উপর সংরক্ষিত। আর আমার রহমত আমার ক্রোধের উপর প্রাধান্য পেয়েছে।’ (সহীহ বুখারী)
আরো পড়ুন:
Hiç yorum yok:
Yorum Gönder