9 Eylül 2014 Salı

নারীদের বিয়ের ক্ষেত্রে গার্জিয়ান এবং যাকে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে – উভয়ের সম্মতি লাগবে




# আজকে জরুরী একটি মাসয়ালা দেওয়া হলো। সবাই শেয়ার করুন – এর কারণে কত নারীর জীবন যে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। কত বোনেরা এর প্রতিকার জানতে চান...

### নারীদের সম্মতি ছাড়া তাদেরকে বিয়ে দেওয়া যাবেনা। কোনো গার্জিয়ান যদি কাউকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে বিয়ে দেয়, তিনি ইচ্ছা করলে শরীয়াহ কোর্টের মাধ্যমে এই বিয়ে বাতিল করে দিতে পারবেন। আর সবচেয়ে বড় কথা গার্জিয়ান গুনাহগার হবেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর আদেশ লংঘন করার জন্য। অতএব হে গার্জিয়ান সম্প্রদায়! আল্লাহকে ভয় করুন, কন্যাদেরকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করবেন না ###

প্রমানঃ
নারী যেমন ওয়ালী অর্থাৎ তার অভিভাবকের সম্মতি ছাড়া বিয়ে করতে পারবেনা, আবার কোনো নারীর পছন্দ ছাড়া তার গার্জিয়ান জোর করে কারো সাথে বিয়ে দিতে পারবেনা। বিশেষ করে, নারীর কোনো ছেলেকে বিয়ের ব্যপারে আপত্তি যদি শরীয়ত সম্মত কারণে করে থাকে, তাহলেতো ঐ বিয়েই বৈধ হবেনা। এমন হলে, ঐ নারীকে যদিওবা জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে বিয়ের পরে শরীয়াহ কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে ঐ বিয়ে বাতিল করে দিতে পারবেন।

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ “পূর্বে বিয়ে হয়েছে এমন নারীর সাথে পরামর্শ করা ছাড়া তাকে বিয়ে দেওয়া যাবেনা। আর একজন কুমারী মেয়েকে তার সম্মতি আছে কিনা জিজ্ঞাস না করে তাকে বিয়ে দেওয়া যাবেনা। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলো, কুমারী মেয়েকে কিভাবে জিজ্ঞাসা করা হবে (কারণ, সেতো লজ্জায় হ্যা বা না কিছুই বলবেনা)।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেনঃ “কুমারী মেয়ের নীরব থাকাই হলো সম্মতি।”
সহীহ আল-বুখারী ৬৪৫৫।

কোনো গার্জিয়ান যদি কোনো নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেয় তাহলে শরীয়াহ কোর্টের মাধ্যমে সেই বিয়ে বাতিল করে দিতে পারবে তার প্রমানঃ

মা আয়িশাহ (রাঃ) এর কাছে একটি মেয়ে এসে বললো, সামাজিক মান-মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য আমার বাবা তার ভাইয়ের ছেলের সাথে (চাচাতো ভাইয়ের সাথে) আমার বিয়ের বিয়ে দেয় কিন্তু আমি এই বিয়ে করতে চাইনি (অর্থাৎ আমাকে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়েছে)।
আয়িশাহ (রাঃ) বললেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) না আসা পর্যন্ত তুমি এখানে বসে থাকো।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) আসলে আয়িশাহ (রাঃ) তাঁকে মেয়েটির ব্যপারে বললেন। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) মেয়েটির বাবাকে ডেকে পাঠালেন এবং পরে মেয়েটিকে বললেন তুমি যেকোনো একটা বেছে নিতে পারো (হয় এই বিয়ে মেনে নিয়ে সংসার করতে পারো অথবা চাইলে এই বিয়ে ভেঙ্গে দিতে পারো)।
মেয়েটি বললোঃ ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ) আমার বাবা যা করেছে আমি সেটা মেনে নিয়েছি। কিন্তু আমি অন্য নারীদের কাছে এটা প্রমান করতে চাচ্ছিলাম (অর্থাত নারীদেরকে জোর করে বিয়ে দেওয়া যাবেনা)।
সুনানে আন-নাসায়ী ৩২১৭।

সুতরাং, নারীদের বিয়ের ক্ষেত্রে গার্জিয়ান এবং যাকে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে – উভয়ের সম্মতি লাগবে। একতরফা কোনো কিছু ইসলামে গ্রহণযোগ্য নয়।

এতো গেলো সরাসরি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) সুন্নাহ থেকে প্রমান...

এবার দেখুন বাস্তব ঘটনার উপর ভিত্তি করে শায়খ সালিহ আল-মুনাজ্জিদ (হাফিজাহুল্লাহ) এর আরো দলীল-প্রমানসহ ফতোয়া।

http://islamqa.info/en/47439

Hiç yorum yok:

Yorum Gönder

Download AsPDF

Print Friendly and PDFPrint Friendly and PDFPrint Friendly and PDF
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...