10 Eylül 2014 Çarşamba

ক্বুরান মাজীদ এর আয়াত বিক্রি করে খাওয়া নিষিদ্ধ




ক্বুরান মাজীদ এর আয়াত বিক্রি করে খাওয়া নিষিদ্ধঃ

আর তোমরা অল্প মূল্যে আমার আয়াত সমূহকে বিক্রি করোনা।
সুর আল-বাক্বারাহঃ আয়াত ৪১।

সুবহানাল্লাহ ! ক্বুরানের স্পষ্ট আয়াত, তারপরেও আমাদের দেশের বহু (অর্থ না বুঝে) হাফেজ সাহেবকে দেখা যায় মৃতবাড়িতে ক্বুরান তেলাওয়াত করে, কবর জিয়াতের সময় কিছু সুরা পড়ে, মিলাদ পড়ে, মৃত্যুবার্ষিকীতে ক্বুরান খতম দিয়ে, কেউ বিপদে পড়লে খতমে ইউনুস (টাকার বিনিময়ে মাদ্রাসার সব ছাত্র মিলে সোয়া লক্ষ বার দুয়া ইউনুস পড়ার বেদাতী তরীকা), নারী-পুরুষের মাঝে অবৈধ ভালোবাসার মিল-মহব্বত করার জন্য তদবীর, ক্বুরানী তাবীজ দিয়ে টাকা খাওয়া ইত্যাদি নামে মানুষকে ধোঁকা দিয়ে টাকা খাচ্ছে। এরা ক্বুরানের নাম করে ক্বুরান বিক্রি করে হারাম ইনকাম করছে, মানুষকে ধোঁকা দিয়ে বেদাতী আমল করিয়ে টাকা, সময় ও সওয়াব নষ্ট করছে।

কিছু বক্তা আছে, টাকার রেইট ধরে ইসলামী মাহফিলে ওয়াজ করে। শিরক বেদাতী আকীদায় ভরা কিন্তু মিষ্টি সুরে ওয়াজ করে আর কবরের সাপ ও জান্নাতের হুরের লোভ দেখিয়ে মানুষের হৃদয় গলিয়ে নিজের ডিমান্ড বাড়ায়। টাকার রেইট ধরে যেই বক্তা ওয়াজ করে এর ইনকাম অবৈধ, একে ভাড়া করে ওয়াজ শোনা নিষিদ্ধ কারণ সে ক্বুরানকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করছে।

উল্লেখ্য, মাদ্রাসায় পড়িয়ে বেতন নেওয়া বৈধ, বা ইমামের সম্মানী নেওয়া বৈধ। যদিও ইমাম আবু হানীফা রহঃ এইগুলোকে জায়েজ মনে করতেন না কিন্তু অন্য ফকীহ যারা, তাঁরা ক্বুরান, সুন্নাহ ও সাহাবাদের আদর্শ থেকে প্রমান করেছেন এই সমস্ত ক্ষেত্রে সম্মানী নেওয়া বৈধ।


প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোনেরা ইলম অর্জন করুন, আল্লাহর ইবাদত কিভাবে করতে হয় তা শিক্ষা করুন, যাতে করে ধোঁকায় পড়ে সিরাতাল মুস্তাকীম হারিয়ে না ফেলেন। আল্লাহ আমাদের নিরাপদ রাখুন, আমিন। 

Hiç yorum yok:

Yorum Gönder

Download AsPDF

Print Friendly and PDFPrint Friendly and PDFPrint Friendly and PDF
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...