9 Ağustos 2018 Perşembe

যিল হজ্জ মাসের চাঁদ দেখা গেলে তাকবীর, তাহলীল ও তাহমীদ পাঠ করার নিয়মঃ


ঈদুল আযহার তাকবীর পাঠ করার সময় দুই ভাগে বিভক্ত; এক . মুতলাক বা সর্বসময়। অর্থাৎ যিল হজ্জ মাসের চাঁদ উদিত হওয়ার পর থেকে আরম্ভ করে আইয়্যামে তাশরীক তথা ১৩ই যিল হজ্জের সূর্য্য ডুবা পর্যন্ত সব সময়। দুই. মুকায়য়্যিদ বা নির্দিষ্টযুক্ত সময়। আর এটা হল; শুধুমাত্র ফরজ নামাযের পর পর। অর্থাৎ আরাফার দিন ফজরের ফরয নামাযের পর থেকে আরম্ভ করে আইয়্যামে তাশরীক তথা ১৩ই যিল হজ্জের আসরের নামায পর্যন্ত প্রত্যেক নামাযের পরপর তা পাঠ করা। তাকবীরের শব্দাবলীঃ ১. আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার কাবীরা। ২. আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ।( মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, ইরওয়াউল গালীল) ৩. আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ, আল্লাহু আকবার ওয়া আজাল, আল্লাহু আকবার আলা মা হাদানা। ( বায়হাকী ও ইরওয়াউল গালীল) ইমাম বুখারী রাহিমাহুল্লাহ বলেনঃ আব্দুল্লাহ বিন ওমার ও আবু হুরাইরা রাযিয়াল্লাহু আনহুমা যিল হজ্জ মাসের প্রথম দশ দিনে বাজারে গেলে তাকবীর পাঠ করতেন, ফলে (তাদের তাকবীর ধ্বনি শুনে) বাজারের মানুষেরাও তাদের সাথে তাকবীর পাঠ করতেন। তিনি আরও বলেনঃ ওমর রাযিয়াল্লাহু আনহু ঐ দিনগুলিতে মিনাতে তাঁর তাঁবুর ভিতর তাকবীর পাঠ করতেন, ফলে তাঁর তাকবীর ধ্বনি মসজিদের সবাই শুনতে পেতেন এবং তারাও তাকবীর পাঠ করতেন। আর তখন বাজরের সবাই এমনভাবে তাকবীর পাঠ করা আরম্ভ করতেন যে সমস্ত মিনা তাকবীর ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠতো। আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাযিয়াল্লাহু আনহুমা ঐ দিনগুলিতে মিনাতে সব সময় তাকবীর পাঠ করতেন। এমনকি ফরয নামাজের পরে, বিছানাতে, তাঁবুতে, আসনে এবং পথ চলার সময়ও তাকবীর পাঠ করতেন। তাকবীর পাঠ করার ক্ষেত্রে মুস্তাহাব নিয়ম হচ্ছে; পুরুষেরা তাকবীর পাঠ করবে উচ্চ আওয়াজে, যেমনটি ওমর, আব্দুল্লাহ বিন ওমর এবং আবু হুরাইরা রাযিয়াল্লাহু আনহুম করতেন। আর মহিলারা আস্তে আস্তে তথা নীচু আওয়াজে তাকবীর পাঠ করবে। কারণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যুগে মহিলারাও তাকবীর পাঠ করতেন। উম্মে আতিয়্যা রাযিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে আদেশ দিয়েছেন যে, আমরা যেন ঋতুবতী মহিলাদেরকেও উভয় ঈদে ঈদগাহে নিয়ে যায়। তবে তারা নামাযের স্থান থেকে দূরে থাকবে (নামাযে শরীক হবে না ) । কিন্তু তারা অন্যান্য মঙ্গল ও মুসলিমদের দুআয় শরীক হবে। তারা পুরুষদের পিছনে অবস্থান করবে এবং পুরুষদের সাথে তারাও তাকবীর পাঠ করবে। (সহীহ বুখারী:৩২৪ ও ৯৭৪ এবং সহীহ মুসলিম: ৮৯০ নং পৃষ্ঠা)। লিখেছেনঃ শায়খ Mohammad Saiful Islam হাফিযাহুল্লাহ।

Hiç yorum yok:

Yorum Gönder

Download AsPDF

Print Friendly and PDFPrint Friendly and PDFPrint Friendly and PDF
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...