2 Nisan 2015 Perşembe

আমার ভালোবাসার ৩টি ‘মাসনুন’ আমল, যা প্রতিদিন করা ‘সুন্নাহ’, আমল করা সহজ কিন্তু তার ‘ফযীলত’ বা প্রতিদান অনেক বেশিঃ


১. প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় ‘সাইয়্যিদুল ইস্তেগফার’ একবার করে পড়া।
ভালো লাগার কারণঃ এ দুয়াটির অর্থ এতো চমতকার, সুবহা’নআল্লাহ! নিজের গুনাহ-খাতা সমূহ স্বীকার করে নিয়ে অনুতপ্ত হৃদয় নিয়ে আল্লাহর কাছে নিঃশর্তভাবে ক্ষমা চাওয়ার জন্য এর চাইতে ভালো দুয়া আর হয়না।
ফযীলতঃ কেউ যদি আন্তরিক বিশ্বাসের সাথে এই দুয়া সকালে ও সন্ধ্যায় পড়ে আর সেইদিন সে মারা যায়, ইন শা’ আল্লাহ সে ব্যক্তি জান্নাতে যাবে। [সহীহ বুখারী]
সাইয়্যিদুল ইস্তেগফার সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন –
http://porokalerjonnokaaj.blogspot.com/2015/04/blog-post.html#more
২. প্রতিদিন ‘সুরা মুলক’ একবার করে তেলাওয়াত করা।
ভালো লাগার কারণঃ নামাযে কেরাত হিসেবে এই সুরাটির আয়াতগুলো বুঝে তেলাওয়াত করলে এতো ভালো লাগে. . .প্রতিদিন পড়ার ফলে গুরুত্বপূর্ণ অনেকগুলো বিষয় স্বরণ থাকে, আল্লাহর প্রতি ভয় সৃষ্টি হয় এবং নেক কাজ করার স্পৃহা বৃদ্ধি পায়। সারাদিনে যখনই সুরা মুলক পড়া শেষ হয়, মনে হয় আমার অগণিত খারাপ কাজের মাঝে অন্তত ভালো একটা কাজ করতে পারলাম, আলহা’মদুলিল্লাহ।
ফযীলতঃ এই সুরা নিয়মিত পাঠকারীকে কবরের আযাব থেকে সুরক্ষা করবে, কেয়ামতের দিন এই সুরাটি জন্য আল্লাহ তাআ’লার কাছে সুপারিশ করে তাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে। [এনিয়ে হাদীসগুলো রিয়াদুস সালেহীনে দেখুন]
সুরা মুলক সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন –
৩. প্রত্যেক ফরয নামাযের পরে ‘আয়াতুল কুরসী’ পাঠ করা
ভালো লাগার কারণঃ প্রত্যেক ফরয নামায পাঠ শেষে ক্বুরানুল কারীমের মর্যাদাপূর্ণ শ্রেষ্ঠ আয়াত তেলাওয়াত করার মাধ্যমে আল্লাহর ওহদানিয়াত (একত্ব), তাঁর অপ্রতিদ্বন্দ্বী শ্রেষ্ঠত্ব ও মহিমার ঘোষণা করা হয়। এর মাধ্যমে বান্দা তার জবানের মাধ্যমে ‘তাওহীদ’ এর স্বীকৃতি জ্ঞাপন করে।
ফযীলতঃ যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরয নামাযের পরে আয়াতুল কুরসী পড়ে, তার আর জান্নাতের মাঝে এতোটুকু দূরত্ব যে, সে যেন শুধুমাত্র মৃত্যুবরণ করছেনা বলেই (কবরে) জান্নাতের নেয়ামতগুলো উপভোগ করতে পারছেনা।
আয়াতুল কুরসী সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন – 

Hiç yorum yok:

Yorum Gönder

Download AsPDF

Print Friendly and PDFPrint Friendly and PDFPrint Friendly and PDF
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...