6 Ocak 2015 Salı

শিশুর খতনা বা মুসলমানি উপলক্ষে অনুষ্ঠান করার হুকুম



প্রশ্ন: মরক্কোর অধিবাসীদের মধ্যে শিশুর খতনা উপলক্ষে অনুষ্ঠান করার প্রথা চালু আছে। এই অনুষ্ঠান করা কি সুন্নত; না বিদআত?
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।
 আনন্দ-উচ্ছ্বাস প্রকাশ ও আল্লাহর নেয়ামত ও অনুগ্রহের কৃতজ্ঞতাস্বরূপ নবজাতকের খতনা উপলক্ষে ওলিমা বা ভোজ অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে দোষের কিছু নেই।
 ইবনে কুদামা (রহঃ) মুগনি গ্রন্থে (৭/২৮৬) বলেন:
খতনা উপলক্ষে দাওয়াত করা এবং বিয়ে ছাড়াও যে কোন উপলক্ষে খাওয়ার দাওয়াত করা মুস্তাহাব। যেহেতু এর মাধ্যমে খাদ্য খাওয়ানোর নেক আমল অর্জিত হয়। এ ধরনের দাওয়াত গ্রহণ করাও মুস্তাহাব; তবে ওয়াজিব নয়। এটি ইমাম মালেক, শাফেয়ি, আবু হানিফা ও তাঁর ছাত্রদের অভিমত।
 যে কোন দাওয়াতকারীর দাওয়াত গ্রহণ করা মুস্তাহাব। যেহেতু দাওয়াত গ্রহণ করলে দাওয়াতকারীর কাছে ভাল লাগে, তার মন প্রশান্ত হয়। ইমাম আহমাদকে একবার খতনার অনুষ্ঠানে দাওয়াত করা হলে তিনি দাওয়াত গ্রহণ করেন এবং খাবার খান।

 তবে এ ধরনের দাওয়াত খাওয়ানোর বিশেষ কোন ফজিলত নেই। যেহেতু এ ব্যাপারে বিশেষ কোন শরয়ি দলিল উদ্ধৃত হয়নি। কোন কারণ ছাড়া দাওয়াত খাওয়ানোর সাধারণ যে মর্যাদা এ আয়োজনেরও সে মর্যাদা। যদি দাওয়াতকারী এর মাধ্যমে আল্লাহর নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও মুসলমান ভাইদের খাবার খাওয়ানোর আমল পালনের উদ্দেশ্য করে, স্বীয় খাদ্যসামগ্রী ব্যয় করার নিয়ত করে তাহলে আল্লাহ চাহেত তিনি সে সওয়াব পাবেন। সংক্ষেপিত ও সমাপ্ত
 ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটির আলেমগণ বলেন:
খতনা উপলক্ষে আনন্দ ও খুশি প্রকাশ করা ইসলামি শরিয়তের দাবী। যেহেতু খতনা ইসলামপ্রিয় বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ তাআলা বলেছেন: বল, আল্লাহর অনুগ্রহ ও রহমতে। সুতরাং এ নিয়েই যেন তারা খুশি হয়। এটি যা তারা সঞ্চয় করে রাখে তা থেকে উত্তম।[সূরা ইউনুছ, আয়াত: ৫৮]। নিঃসন্দেহে খতনা আল্লাহর রহমত ও অনুগ্রহের অন্তর্ভুক্ত। অতএব, আল্লাহর কৃতজ্ঞতাস্বরূপ এ উপলক্ষে ভোজ অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে কোন আপত্তি নেই। সমাপ্ত [ফাতাওয়াল্‌ লাজনাহ আদ্‌দায়িমা (ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটির ফতোয়াসমগ্র), খণ্ড- ৫; পৃষ্ঠা-১৪২]
 আল্লাহই ভাল জানেন।
উৎস Islamqa

Hiç yorum yok:

Yorum Gönder

Download AsPDF

Print Friendly and PDFPrint Friendly and PDFPrint Friendly and PDF
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...