উত্তরঃ “খারেজী” হচ্ছে ৭২টি বেদাতী জাহান্নামী তরীকার একটা তরীকা। এরা অত্যন্ত চরমপন্থী একটি দল যারা সাহাবা রাঃ ও মুসলিম শাসকদেরকে কাফের ফতোয়া দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে অনেক মুসলমানদেরকে হত্যা করেছে। কিন্তু ব্যক্তিগত আমলের দিক থেকে তারা হচ্ছে এই উম্মতের মাঝে সবচাইতে বেশী ইবাদত করনেওয়ালা ফেরকা – তারা সবচাইতে বেশী নামায পড়তো, সবচাইতে বেশি রোযা রাখতো, সারা রাত তাহাজ্জুদ পড়তো, কুরান পড়তো – এইগুলো রাসুল সাঃ আগেই বলেছিলেন তাদের গুণাবলী সম্পর্কে। কিন্তু তাদের ভ্রান্ত আকীদা (ধর্মীয় বিশ্বাস) ও চরমপন্থা অবলম্বনের কারণে তারা এতো নামায রোযা করেও এতোটাই নিকৃষ্ট যে, রাসুল সাঃ তাদেরকে “কিলাবু আহলিন-নার’’ জাহান্নামের কুকুর বলেছেন। তাই কোন দলের লোক অনেক আমল করলেই তারা হক্ক হয়ে যায়না, দেখতে হবে তাদের আকীদা কি, তাদের মানহাজ (চলার পথ বা পদ্ধতি/উসূল বা মূলনীতি) কি? তারা যদি আহলে সুন্নতের অনুসারী হয় তাহলেই সে নাজাত পাবে, আর আহলে সুন্নতের বিপরীত চললে যতই আমল করুক, জাহান্নামে যাবে।
বর্তমান যুগেও এমন কিছু খারেজী লক্ষ্য করা যায়, বা এমন অনেক ব্যক্তি বা দল আছে যাদের মাঝে খারেজীদের গুণ দেখা যায়। যেমন, ১৯৭৯ সালে সৌদি আরবের সরকারের বিরুদ্ধে “জুহাইমান আল-ওতাইবি” নামে এক লোক বিদ্রোহ করে ক্ষমতা দখল করার চেষ্টা করে। আনুমানিক ৩০০-৪০০ লোক নিয়ে সে প্রথম কাবা দখল করে এবং সেখানে তাদের মধ্য থেকে একজনকে “ইমাম মাহদী” দাবী করে তার হাতে বায়াত করে তাকে শাসক হিসেবে মেনে নিতে দাবী করে। এরা “মসজিদুল হারাম” যেখানে কেয়ামত পর্যন্ত রক্তপাত কঠোরভাবে নিষিদ্ধ, সেখানে অনেক মানুষদেরকে হত্যা করে। অবস্থা এতো সংকটময় দেখে ইমাম বিন বাজ রহঃ সহ তখনকার বড় আলেমরা ফতোয়া দেন – এ খারেজী হয়ে গেছে – এর ক্ষতি থেকে মুসলিমদের বাচানোর জন্য কাবাঘরে এদের উপর আক্রমন করা জায়েজ হবে, যদিও হারামে রক্তপাত চিরদিনের জন্য নিষিদ্ধ। কিন্তু সংকটপূর্ণ অবস্থায় মাসয়ালা পরিবর্তন হয়ে যায়, আর এর মতো লোককে না সরালে সে আরো ফেতনা ছড়াবে, তাই এইক্ষেত্রে হারামে তাদের উপর আক্রমন করলে গুনাহ হবেনা। যাইহোক তাদের উপর আক্রমন করা হলে তারা একটা টানেলে আশ্রয় নেয় যেখান থেকে তাদেরকে ধরা যাচ্ছিলোনা, তাদেরকে ধরতে কোন সৈন্য গেলে তাদেরকে গুলি করে হত্যা করতো। পরে বিষাক্ত গ্যাস প্রয়োগ করে ও টানেলে পানি ঢেলে তাতে কারেন্ট দিয়ে তাদেরকে আহত করে জুহাইমানসহ তার প্রায় ৭৭জন সাথীকে গ্রেফতার করা হয়। কথিত ইমাম মাহদী আগেই মারা গিয়েছিল আক্রমনের সময়। গ্যাসে জুহাইমানের চেহারা কালো হয়ে যায়, পরে শরিয়াহ মোতাবেক জুহাইমানসহ অনেককে প্রকাশ্যে কতল করে হত্যা করা হয়। জুহাইমানকে এই ভিডিওতে দেখতে পারবেন।
এছাড়াও বিগত শতাব্দীতে সাইয়েদ কুতুব নামক মিশরীয় একজন লোক, যে ইসলাম নিয়ে লেখালিখি করতো – তার মাঝেও খারেজীদের কিছু লক্ষণ দেখা গেছে। তার লেখা মাইলস্টোন সহ আরো অনেক জায়গায় সে সমগ্র উম্মতকে কাফের ঘোষণা করেছে, তার লেখালিখি দ্বারা তার অনুসারী ছাড়া বাকি সবাই কাফের, এমন ধ্যান ধারণা প্রচার করেছে। চরমপন্থা অবললম্বন ও আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের বিরোধী আকীদা প্রচার কারণে ততকালীন বড় আলেম যেমন শায়খ নাসির উদ্দীন আলবানী, শায়খ ইবনে উসাইমিন, শায়খ মুহাম্মাদ আমান আল-জামি আর বর্তমানে জীবিত আছেন তাদের মাঝে শায়খ সালেহ আল-ফাওজান, শায়খ রাবী বিন হাদী আল-মাদখালীসহ বহু আলেম ওলামা সাইয়েদ কুতুবের লেখালিখির বিরুদ্ধে মানুষকে সতর্ক করেছেন। যাইহোক, কুতুবের অনেক অন্ধভক্ত তার চরমপন্থী লেখালিখির পরেও আজ পর্যন্ত ঐগুলোই নিয়ে পড়ে আছে, আর জমীনের বুকে ফাসাদ সৃষ্টি করে বেড়াচ্ছে। তাই এইরকম আহলে সুন্নত বিরোধী লেখক ও বক্তাদের থেকে আপনারা সাবধান থাকবেন, যদিও সে যতই ভালো লেখালিখি করুক বা সুন্দর সুন্দর লেকচার দিয়ে বেড়াক না কেনো। কারণ এদের কারণে, ইতিমধ্যেই অনেকেই হক্ক ছেড়ে বাতিলের দিকে ঝুকে পড়েছে।
বর্তমান যুগে আলেমদের সর্বসম্মত ঐক্যমতে কথিত "খিলাফতের" দাবীদার আইসিস বা আইএস খারেজীদের একটি দলের মাঝে অন্তর্ভুক্ত। আইসিস এর জাহেল মুফতিরা সমস্ত মুসলিম শাসকদেরকে এবং তাদের নেতা আবু বকর বাগদাদীর কাছে যারা 'বায়াত' করবেনা তাদেরকে 'মুর্তাদ' ফতোয়া দিয়ে ইরাক এবং সিরিয়াতে অনেক সুন্নী মুসলিমদেরকে হত্যা করেছে, এবং বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম এবং কাফের দেশগুলতে বোমা মেরে নির্দয়ভাবে মানুষ হত্যা করছে। এরা ক্বুরান ও হাদীসের অপব্যখ্যাকারী দল, যাদের প্রধান কাজ হচ্ছে জিহাদ সম্পর্কে ভুল ধারণা প্রচার করা, যাকে বাহানা করে ইয়াহুদী এবং খ্রীস্টানরা মুসলিম দেশগুলো আক্রমন করে মুসলিমদেরকে হত্যা করতে পারে। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, দ্বীন সম্পর্কে অজ্ঞ অনেক সরলমনা তরুণ নারী ও পুরুষদেরা এদের চমকপ্রদ কথা শুনে এবং হলিউড স্টাইলে ডিজিটাল স্টুডিওতে বানানো HD ভিডিও দেখে এদের ব্যপারে ধোঁকা খাচ্ছে। এই সমস্ত খারেজীদের ব্যপারে মুসলিম জাতিকে সতর্ক করা ওলামা এবং দ্বাইয়ীদের জন্যে ওয়াজিব (বাধ্যতামূলক দায়িত্ব)।
বর্তমান যুগে আলেমদের সর্বসম্মত ঐক্যমতে কথিত "খিলাফতের" দাবীদার আইসিস বা আইএস খারেজীদের একটি দলের মাঝে অন্তর্ভুক্ত। আইসিস এর জাহেল মুফতিরা সমস্ত মুসলিম শাসকদেরকে এবং তাদের নেতা আবু বকর বাগদাদীর কাছে যারা 'বায়াত' করবেনা তাদেরকে 'মুর্তাদ' ফতোয়া দিয়ে ইরাক এবং সিরিয়াতে অনেক সুন্নী মুসলিমদেরকে হত্যা করেছে, এবং বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম এবং কাফের দেশগুলতে বোমা মেরে নির্দয়ভাবে মানুষ হত্যা করছে। এরা ক্বুরান ও হাদীসের অপব্যখ্যাকারী দল, যাদের প্রধান কাজ হচ্ছে জিহাদ সম্পর্কে ভুল ধারণা প্রচার করা, যাকে বাহানা করে ইয়াহুদী এবং খ্রীস্টানরা মুসলিম দেশগুলো আক্রমন করে মুসলিমদেরকে হত্যা করতে পারে। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, দ্বীন সম্পর্কে অজ্ঞ অনেক সরলমনা তরুণ নারী ও পুরুষদেরা এদের চমকপ্রদ কথা শুনে এবং হলিউড স্টাইলে ডিজিটাল স্টুডিওতে বানানো HD ভিডিও দেখে এদের ব্যপারে ধোঁকা খাচ্ছে। এই সমস্ত খারেজীদের ব্যপারে মুসলিম জাতিকে সতর্ক করা ওলামা এবং দ্বাইয়ীদের জন্যে ওয়াজিব (বাধ্যতামূলক দায়িত্ব)।
যাইহোক খারেজীদের নিয়ে মুহতারাম শায়খ মুজাম্মেল হক্ক আরো বিস্তারিত লিখেছেন, সেটা শেয়ার করা হলো। আশা করি শায়খের লেখা থেকে আপনারা আরো বিস্তারিত জানতে পারবেন ও তাদের থেকে সতর্ক হবেন।
বারাক আল্লাহ ফীকুম।
বারাক আল্লাহ ফীকুম।
খারেজী…
আরবিতে খারেজী মানে যে বের হয়ে গেছে। এক হাদিসে রাসুল সঃ বলেছেনঃ
“পরবর্তি জামান এমন ধরনের লোক বের হবে যারা ইসলাম থাকে বের হয়ে যাবে যেমন তীর ধনুক থেকে বের হয়ে যায়।’’
তিরমিজি-হাসান সহীহ, আবুদাউদ-সহীহ।
তাদের আরেক বিশেষ স্বভাব হল তারা সকল খলিফা রাশেদীন এর বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে বের হয়েছে। অস্ত্রের মাথায় কুরআন বেঁধে যুদ্ধ করেছে। এই দুইটি বিশেষ কারণেই তাদেরকে খারেজী বলা হয়। তাদের উল্লেখ যোগ্য আরো স্বভাব গুলির মধ্যে অন্যতম হল, আল্লাহ্ ছাড়া কেউ শাসন করতে পারেনা বলে সর্বদা শ্লোগান দিয়েছে। উসমান রাঃ কে কতল করার সময় বলেছে
“যদি আল্লাহ্র সন্তুষ্টি অর্জন উদ্দেশ্য না হোত তাহলে তোমাকে হত্যা করতাম নাহ।’’
তাদের সকল কাজকে তারা আল্লাহ্ ভক্তির চরম নিদর্শন হিসেবে তুলে ধরেছে।
“পরবর্তি জামান এমন ধরনের লোক বের হবে যারা ইসলাম থাকে বের হয়ে যাবে যেমন তীর ধনুক থেকে বের হয়ে যায়।’’
তিরমিজি-হাসান সহীহ, আবুদাউদ-সহীহ।
তাদের আরেক বিশেষ স্বভাব হল তারা সকল খলিফা রাশেদীন এর বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে বের হয়েছে। অস্ত্রের মাথায় কুরআন বেঁধে যুদ্ধ করেছে। এই দুইটি বিশেষ কারণেই তাদেরকে খারেজী বলা হয়। তাদের উল্লেখ যোগ্য আরো স্বভাব গুলির মধ্যে অন্যতম হল, আল্লাহ্ ছাড়া কেউ শাসন করতে পারেনা বলে সর্বদা শ্লোগান দিয়েছে। উসমান রাঃ কে কতল করার সময় বলেছে
“যদি আল্লাহ্র সন্তুষ্টি অর্জন উদ্দেশ্য না হোত তাহলে তোমাকে হত্যা করতাম নাহ।’’
তাদের সকল কাজকে তারা আল্লাহ্ ভক্তির চরম নিদর্শন হিসেবে তুলে ধরেছে।
খারেজী কোন দলের নাম নয়। এটা একটি গুণবাচক নাম। যে খারেজী সে শুধু শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে তা নয় বরং তার আরো অনেক আকীদা বিশ্বাস ও আমলের দিক রয়েছে যা ইসলাম অনুমোদন করেনা। যদিও সে নিজেকে একনিষ্ঠ আল্লাহ্র গোলাম মনে করে।
খারেজীরা হল চরমপন্থী। সে নিজে যা বুঝে, তা সকলের উর্ধে বলে বিশ্বাস করে। সে মনে করে তার মত সৎ ও আল্লাহ্ ভীরু আর কেউ নয়। সে তুচ্ছ গোনাহ করাকে কুফুরি কাজ বলে মনে করে। সামান্য গোনাহ কারীকেও কাফের বলে মনে করে। এবং তার জান মাল লুণ্ঠন করা জায়েজ মনে করে।
খারেজীরা রাসুলের কাজে ভুল ধরেছে। যেমন করেছিল আবুল খোয়াইসারা। সাহাবাদের কাজে ভুল ধরেছে যেমন করেছে আব্দুল্লাহ ইবনে সাবা নামের খারেজী যে পরে “শিয়া” মতবাদ প্রচার করে।
খুলাফায়ে রাশেদীনের কাজে ভুল ধরেছে যেমন করেছে ওরওয়াহ ইবনে আজনাবাহ। তাদের মতানুযায়ী যারা শুদ্ধ হয়নি তাঁদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছে। জীবন বাজী রেখে যুদ্ধ করেছে। তাদেরকে খুন করেছে। তারাই খোলাফায়ে রাশেদীনের মত খলিফাদেরকে হত্যা করেছে। হাজার হাজার সাহাবীকে কারবালা, নাহরাওয়ান্দ, জামাল ও সীফফিনের ময়দানে হত্যা করে উল্লাস করেছে। আর রাত্রিতে তাবুতে গিয়ে রাতভর কোরআন তেলাওয়াত করে চোখের জলে বুক ভাসিয়েছে। তাহাজ্জুদ নামাযে দাঁড়িয়ে থেকে পা ফুলিয়েছে।
খারেজীরা রাসুলের কাজে ভুল ধরেছে। যেমন করেছিল আবুল খোয়াইসারা। সাহাবাদের কাজে ভুল ধরেছে যেমন করেছে আব্দুল্লাহ ইবনে সাবা নামের খারেজী যে পরে “শিয়া” মতবাদ প্রচার করে।
খুলাফায়ে রাশেদীনের কাজে ভুল ধরেছে যেমন করেছে ওরওয়াহ ইবনে আজনাবাহ। তাদের মতানুযায়ী যারা শুদ্ধ হয়নি তাঁদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছে। জীবন বাজী রেখে যুদ্ধ করেছে। তাদেরকে খুন করেছে। তারাই খোলাফায়ে রাশেদীনের মত খলিফাদেরকে হত্যা করেছে। হাজার হাজার সাহাবীকে কারবালা, নাহরাওয়ান্দ, জামাল ও সীফফিনের ময়দানে হত্যা করে উল্লাস করেছে। আর রাত্রিতে তাবুতে গিয়ে রাতভর কোরআন তেলাওয়াত করে চোখের জলে বুক ভাসিয়েছে। তাহাজ্জুদ নামাযে দাঁড়িয়ে থেকে পা ফুলিয়েছে।
শুধু মতবিরোধের কারণেই তাদেরকে খারেজী বলা হয় নাই। বরং “হিবরুল উম্মাহ” ইবনু আব্বাস রাঃ, “গোলামুন মোয়াল্লাম” ইবনু মাসউদ রাঃ এর মত ফকীহ গনের মতামতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজেরা যা বুঝেছে সে মতে সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। রাসুল সঃ তাদের প্রসঙ্গে বলেছেন
“তারা কোরআন পড়বে কিন্তু কোরআন তাদের গ্রীবার নীচে প্রবেশ করবেনা (অর্থ বুঝবেনা)।. তাদের নামাজ দেখলে কেউ নিজের নামাজকে তুচ্ছ মনে করবে। তাদের কোরআন পড়া দেখলে নিজের কোরআন তালাওয়াতকে তুচ্ছ মনে করবে, মনে হবে যেন কোরআন তাদেরি উপর নাজেল হয়েছে।’’
আবু দাউদ- সহীহ/৪৭৬৫।
“তারা কোরআন পড়বে কিন্তু কোরআন তাদের গ্রীবার নীচে প্রবেশ করবেনা (অর্থ বুঝবেনা)।. তাদের নামাজ দেখলে কেউ নিজের নামাজকে তুচ্ছ মনে করবে। তাদের কোরআন পড়া দেখলে নিজের কোরআন তালাওয়াতকে তুচ্ছ মনে করবে, মনে হবে যেন কোরআন তাদেরি উপর নাজেল হয়েছে।’’
আবু দাউদ- সহীহ/৪৭৬৫।
এমন চরিত্রের হয়েও তাদেরকে রাসুল সাঃ “কিলাবু আহলিন-নার’’ জাহান্নামের কুকুর বলেছেন।
ইবনু মাজা, সহীহ/১৭৩।
এবং বলেছেন, “যদি আমি খারেজীদের সময় বেঁচে থাকতাম তাহলে তাদেরকে আদ জাতীর মত করে হত্যা করতাম।”
ইবনু মাজা, সহীহ/১৭৩।
এবং বলেছেন, “যদি আমি খারেজীদের সময় বেঁচে থাকতাম তাহলে তাদেরকে আদ জাতীর মত করে হত্যা করতাম।”
উপরের সব গুলো স্বভাব ও চরিত্র কারো মধ্যে না পাওয়া গেলে তাঁকে সরাসরি খারেজী বলা ঠিক হবেনা বরং তার কোন এক স্বভাব বা চরিত্রকে খারেজী চরিত্র বলা যেতে পারে। শুধু কেউ কারো সমালোচনা করলেই খারেজী হয়ে যায় এমনটি মনে করা ঠিক নয়। তবে খারেজীদের মত নরম ও গরম স্বভাবের আল্লাহ্ ওয়ালা বর্তমানে অসংখ্যক তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু তাই বলে কাউকে সরাসরি খারেজী বলা উচিৎ নয়।
Collected from Shaikh Muzammel Al-hoque
________________________
________________________
বুখারী, মুসলিম আরো হাদীসের কিতাবে খারেজীদের আরো কিছু গুণ বর্ণনা করা হয়েছে।
খারেজীদের প্রধান কয়েকটি বৈশিষ্ট্যঃ
১. তাদের বয়স কম হবে।
২. জ্ঞানের দিক থেকে মিসকীন হবে।
৩. সুন্দর সুন্দর কথা বলবে।
৪. আলেমদের সাথে সবচাইতে বেশি শত্রুতা পোষণকারী হবে।
৫. মুসলিমদেরকে পাইকারি হারে কাফির বলে ঘোষণা করবে।
৬. শরিয়াহ কায়েম করার নামে অন্যায় যুদ্ধ ও রক্তপাত করবে।
৭. দাঁড়ি শেইভ করবে।
১. তাদের বয়স কম হবে।
২. জ্ঞানের দিক থেকে মিসকীন হবে।
৩. সুন্দর সুন্দর কথা বলবে।
৪. আলেমদের সাথে সবচাইতে বেশি শত্রুতা পোষণকারী হবে।
৫. মুসলিমদেরকে পাইকারি হারে কাফির বলে ঘোষণা করবে।
৬. শরিয়াহ কায়েম করার নামে অন্যায় যুদ্ধ ও রক্তপাত করবে।
৭. দাঁড়ি শেইভ করবে।
লিখেছেনঃ আনসারুস সুন্নাহ।
Hiç yorum yok:
Yorum Gönder