Thursday 25 September 2014

কার অনুসরণ করা জরুরী??


কার অনুসরণ করা জরুরী??
আল্লাহর না শয়তানের (ওয়াল ইয়াযু বিল্লাহ)???

"হে বনী-আদম! আমি কি তোমাদেরকে বলে রাখিনি যেশয়তানের উপাসনা করো নাসে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রুআর শুধুমাত্র আমারই এবাদত কর। এটাই সরল পথ। শয়তান তোমাদের অনেক দলকে পথভ্রষ্ট করেছে তবুও কি তোমরা বুঝনা"? (সুরা ইয়া সীনঃ ৬০-৬২)

মুসলিম ভাইয়েরা দাঁড়ি রাখতেটাখনুর উপরে কাপড় পড়তে হীনমন্যতায় ভুগেনমনে করেন আমাকে খারাপ দেখা যাবে...এটা ফ্যাশানের বিপরীত...সমাজের মানুষ ভালো চোখে দেখেনা...আনস্মার্ট!!

অন্যদিকে অনেক নারীরা হিজাব পর্দা করতে হীনমন্যতায় ভুগেন বা ঘৃণা করেন। অথচ এই আমাদের দেশের দেশেই নামধারী কিছু মেয়ে (তারা বা তাদের বাবা-মা মুসলিম দাবীদার!) ফ্যাশানের নাম করে নিজদেরকে প্রদর্শনীতে ব্যস্ত...কাপড়কে যত সংক্ষিপ্ত করা যায় সেই প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত...এরা যখন ফ্যাশান হিসেবে টাখনুর উপরে কাপড় পড়ে তখন তাদের কাছে এটা যুগের ফ্যাশান...দেখতে সুন্দর লাগে (আসলে দেখতে জঘন্য লাগে)...এটাই স্মার্টনেস!!

নাস্তিকরা আল্লাহকে বিশ্বাস করেনাশয়তান আছে এটা বিশ্বাস করেনা। কিন্তু এরা যদি আল্লাহ তাআলার আদেশ-নিষেধ আর এর বিপরীতে মানুষের কর্মকান্ডসমাজে এইগুলোর প্রভাব নিয়ে গবেষণা করত এরা ইসলাম বিশ্বাস না করে কোনো পথ খুজে পেতোনা...

এটা আসলে শয়তানের কারসাজি ছাড়া আর কিছুইনা!

শয়তান পুরুষকে আদেশ করে তোমরা টাখনুর নিচে কাপড় পড়ো,এতেই তোমাদেরকে সুন্দর লাগবে...আর পুরুষেরাও এটাকেই ভালো মনে করে...
আর নারীদেরকে আদেশে করে কাপড় ছোটো করোপায়ের দিক থেকেও ছোটো করো...যতো পারো নিজের সৌন্দর্য প্রকাশ করো...

এইভাবে আল্লাহ যেই কাজগুলো নিষেধ করেছেন এইগুলো শয়তান মানুষের কাছে সুন্দর করে উপস্থাপন করে। এতো সুন্দর ও চাকচিক্যময় করে উপস্থাপন করে যেঅনেকে আছে ইসলাম ধর্ম সত্যিএক আল্লাহ তাআলাজান্নাত-জাহান্নাম বিশ্বাস করে। কিন্তু দুনিয়ার ধোঁকায় এতোটাই নিমজ্জিত থাকে যেস্পষ্ট জানে এই কাজ আল্লাহ নিষেধ করেছেন এই কাজ করলে নিজেরই ক্ষতিকি দুনিয়াতে কি আখেরাতে...তারপরেও চোখ বুজে সেই কাজগুলো করে যায়...

এই আয়াতগুলোর দিকে লক্ষ্য করুনঃ

"আমি তাদের পেছনে (শয়তানদুষ্ট জিন/ইনসান) সঙ্গী লাগিয়ে দিয়েছিলামঅতঃপর সেই সঙ্গীরা তাদের সামনের ও পেছনের আমল তাদের দৃষ্টিতে শোভনীয় করে দিয়েছিল। তাদের ব্যাপারে সেই শাস্তির আদেশ বাস্তবায়িত হলযা বাস্তবায়িত হয়েছিল তাদের পূর্ববতী জিন ও মানুষের ব্যাপারে। নিশ্চয় তারা ক্ষতিগ্রস্ত।" (সুরা ফুসসিলাতঃ ২৫)

সে (ইবলিশ) বললঃ হে আমার পলনকর্তা! আপনি যেমন আমাকে পথ ভ্রষ্ট করেছেনআমিও তাদের (আদম ও তার সন্তানদেরকে) সবাইকে পৃথিবীতে নানা সৌন্দর্যে আকৃষ্ট করব এবং তাদের সবাইকে পথভ্রষ্ঠ করে দেব।”(সুরা আল-হিজরঃ ৩৯)
"শয়তান তোমাদেরকে অভাব অনটনের ভীতি প্রদর্শন করে এবং অশ্লীলতার আদেশ দেয়। পক্ষান্তরে আল্লাহ তোমাদেরকে নিজের পক্ষ থেকে ক্ষমা ও বেশী অনুগ্রহের ওয়াদা করেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়,সুবিজ্ঞ।" (সুরা বাকারাহঃ ২৬৮)

"তারা আল্লাহকে পরিত্যাগ করে শুধু নারীর আরাধনা করে এবং শুধু অবাধ্য শয়তানের পূজা করে। যার প্রতি আল্লাহ অভিসম্পাত করেছেন। শয়তান বললঃ আমি অবশ্যই তোমার বান্দাদের মধ্য থেকে নির্দিষ্ট অংশ গ্রহণ করব। তাদেরকে পথভ্রষ্ট করবতাদেরকে আশ্বাস দেবতাদেরকে পশুদের কর্ণ ছেদন করতে বলব এবং তাদেরকে আল্লাহর সৃষ্ট আকৃতি পরিবর্তন করতে আদেশ দেব। যে কেউ আল্লাহকে ছেড়ে শয়তানকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করেসে প্রকাশ্য ক্ষতিতে পতিত হয়। সে তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দেয় এবং তাদেরকে আশ্বাস দেয়। শয়তান তাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দেয়তা সব প্রতারণা বৈ নয়। তাদের বাসস্থান জাহান্নাম। তারা সেখান থেকে কোথাও পালাবার জায়গা পাবে না"। 
সুরা আন-নাহলঃ ১১৭-১২১। 

No comments:

Post a Comment

Download AsPDF

Print Friendly and PDFPrint Friendly and PDFPrint Friendly and PDF
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...